বিদেশ পালাতে গিয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরে পাবনা আ.লীগ নেতা আটক

মঙ্গলবার (৩ জুন) সন্ধ্যায় ঢাকার বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুস সালাম জানান, সোহেল হাসান শাহীন পাবনা পৌর এলাকার বালিয়াহালট এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে। গত বছরের ৪ আগস্ট পাবনা শহরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলায় একাধিক মামলার আসামি তিনি। গত বছরের উপজেলা নির্বাচনে পাবনা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

ওসি বলেন, বিদেশে যাওয়ার পথে বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ সোহেল হাসান শাহীনকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে বিমানবন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়। তাকে পাবনায় আনতে একটি টিম ঢাকায় গেছে।

গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে পাবনা শহরের ট্রাফিক মোড়ে ছাত্র-জনতার শান্তিপূর্ণ গণ-অবস্থান কর্মসূচি চলছিল। দুপুরের দিকে হঠাৎ করে পাবনার ভাঁড়ারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ খান এবং তার সহযোগীরা এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করেন। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন শিক্ষার্থী নিহত হন।

এরপর দ্বিতীয় দফায় সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিবর্ষণে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন। এসব ঘটনায় ১০৩ জনের নাম উল্লেখ করে পাবনা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়।

এছাড়াও ১২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে আসামি করে আরেকটি হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়। দুটি মামলাতেই সোহেল হাসান শাহীন আসামি।