ব্রেকিং:
সংসার চালানো কষ্ট হলেও বাপ-দাদার পেশা ধরে রেখেছেন চাটমোহরের শাঁখা পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় টানা ৪০ দিন নামাজ পড়ে বাইসাইকেলসহ বিভিন পাবনার সাবেক ওসির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতার অভিযোগ পাবনায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্প আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পাবিপ্রবির তিন শিক্ষার্থীর কৃতিত্ব পাবনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন "মুতআহ বিয়ে, গুপ্তচর ক্যাথরিন শাকদাম ও ইরানের নিরাপত্তা: এক রাষ্ট সেনাবাহিনী বিচার প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

শুক্রবার   ০১ আগস্ট ২০২৫   শ্রাবণ ১৬ ১৪৩২   ০৬ সফর ১৪৪৭

পাবনার খবর
সর্বশেষ:
সংসার চালানো কষ্ট হলেও বাপ-দাদার পেশা ধরে রেখেছেন চাটমোহরের শাঁখা পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় টানা ৪০ দিন নামাজ পড়ে বাইসাইকেলসহ বিভিন পাবনার সাবেক ওসির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতার অভিযোগ পাবনায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্প আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পাবিপ্রবির তিন শিক্ষার্থীর কৃতিত্ব পাবনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন "মুতআহ বিয়ে, গুপ্তচর ক্যাথরিন শাকদাম ও ইরানের নিরাপত্তা: এক রাষ্ট সেনাবাহিনী বিচার প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
১০৪৭

পাবনা পশুর হাট, ইচ্ছামতো হাসিল আদায়ে ক্ষোভ

পাবনার খবর

প্রকাশিত: ৩ জুন ২০২৫  

পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। এরই মধ্যে দেশের অন্যতম পশুপ্রাপ্তির অঞ্চল হিসেবে পাবনার হাটগুলোতে আসতে শুরু করেছেন বিভিন্ন অঞ্চলের বেপারি ও স্থানীয় ক্রেতারা। তাইতো পাবনা অঞ্চলের সব কুরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতিতে বেশ সরগরম হয়ে উঠেছে পশুর হাট। বড় গরুর তুলনায় ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদাই বেশি। ছাগলের চাহিদাও ব্যাপক দেখা গেছে। হাটে গরু, ছাগল, মহিষ ও ভেড়া নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা।

 

তবে অভিযোগ উঠেছে, জেলা প্রশাসন থেকে বেঁধে দেওয়া খাজনার আদায়ের নিয়মের কোনো তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। প্রতিটি হাটে ইচ্ছামতো খাজনার টাকা আদায় করা হচ্ছে। হাটগুলোতে প্রশাসনের তেমন নজরদারি নেই বললেই চলে। অভিযানে গেলে দায়সারা কাজ করে ফিরে আসে প্রশাসন। এরপর আগের মতো ইচ্ছানুযায়ী অর্থ আদায় করে যাচ্ছেন ইজারাদার। প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তারাও এসব অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে যোগসাজশ রয়েছে বলে মনে করছেন সবাই। সরেজমিনে সদর উপজেলার চরতারাপুর ইউনিয়নের তারাবাড়িয়া মাদরাসা মাঠের গরুর হাটে এমন চিত্র দেখা গেছে। একই চিত্র জেলার একদন্ত পশুর হাটের। এখানেও সরকারনির্ধারিত খাজনার অর্থের চাইতে দ্বিগুণ অর্থ নিচ্ছেন হাট ইজারাদার।

 

পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পাবনা জেলার প্রতিটি গরুর হাটে বড় গরু ৬৫০ টাকা করে। ছোট গরু ৪৪০ টাকা। মহিষ ৭৫০ টাকা। বড় ছাগল ২৪০ টাকা আর ছোট ছাগল ১৮০ টাকা করে নির্ধারণ করা হলেও কোনোটির তোয়াক্কা করছে না।

 

দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তারবাড়িয়া মাদরাসা গরুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে ব্যাপক পরিমাণ গরু, মহিষ ও ছাগলে কানায়-কানায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। হাটে দাঁড়ানোর মতো কোনো জায়গা নেই। হাটে বড় গরুর চেয়ে ছোট গরুর চাহিদা বেশি। গত বছরের চেয়ে এবার তুলনামূলক দাম কম বলে বিক্রেতারা জানান।

 

প্রতিটি গরু বড় ৬৫০ টাকার পরিবর্তে ১ হাজার ২০০ টাকা। ছোট গরু ৪৪০ টাকার পরিবর্তে ১০০০ টাকা। ছাগলের ২৪০ টাকার পরিবর্তে ৬০০ টাকা, ছোট ছাগলের ৫০০ টাকা করে খাজনা আদায় করা হচ্ছে। আবার কোনো কোনো গরু থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্তও হাসিল আদায় করতে দেখা গেছে।

 

এরপর বিষয়টি ভুক্তভোগীরা পাবনার জেলা প্রশাসককে অবগত করলে উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (এসি ল্যান্ড) মুরাদ হোসেনের নেতৃত্ব একটি টিম হাটে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এরপর হাটে মাইকিং করে বড় গরু সরকার নির্ধারিত রেট ৬৫০, মহিষ ৭৫০ ও ছাগল ২৪০ টাকা হাসিল আদায় করা হয়।

 

অন্যদিকে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের সংবাদ সংগ্রহ করতে স্থানীয় সাংবাদিকরা সাধারণ ক্রেতা-বিক্রেতাদের বক্তব্য নেওয়ার সময় সুজানগর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেনসহ বেশ কয়েকজন হাসিল আদায়কারী কয়েকজন ক্যামেরাম্যানের সঙ্গে মারমুখী আচরণ করেন। ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভাঙচুরের চেষ্টা করা হয়। তাৎক্ষণিক হাটে টহলরত পুলিশ এসে পরিবেশ শান্ত করেন।

 

পাবনার আতাইকুলা থেকে কুরবানির গরু কিনতে আসা রাকিব হাসান বলেন, ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনলাম। কিন্তু ইজারাদার নিলো ১ হাজার ২০০ টাকা। আসলে এই হাটে আগে কম টাকা খাজনা আদায় হতো, এখনও বেশি নেওয়া হচ্ছে। সরকারি রেটের তোয়াক্কা করছে না হাট ইজারাদাররা। স্বেচ্ছাচারিতা বেড়ে গেছে প্রতিটি স্থানে। এখন থেকে এই হাটে আসা বাদ দিতে হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী আমলেও এই হাটে এত টাকা নেওয়া হয়নি। তাহলে জীবন দিয়ে কি লাভ হলো, কোনো পরিবর্তন নেই।

 

হাট ইজারাদার পাবনা সুজানগর পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা ঈদের সময় অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছি। কয় টাকা নিতে হবে আমাদের কেউ নির্ধারণ করে দেয়নি। ইউএনও আমাদের থেকে হাট ইজারাদার বাবদ ৮৩ লাখ টাকা নিয়েছেন। কিন্তু তিনি আমাদের কোনো চিঠি দেননি কত টাকা নিতে হবে।

 

তারাবাড়িয়া মাদরাসা হাট ইজারাদার ও সুজানগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রইজ উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, আমরা সরকার থেকে কোটি টাকা দিয়ে হাট ইজারা নিয়েছি। বেশি টাকা না নিলে হাটের টাকা উঠবে না। আর ঈদের সময় একটু বেশি নিতে হয়। সারা বছর তো বেশি নিতে পারি না। 

 

পাবনা সদর উপজেলা ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুরাদ হোসেন বলেন, অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগে হাটে অভিযান পরিচালনা করে সত্যতা পাওযায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। মাইকিং করে সরকার নির্ধারিত টাকা হাসিল আদায়ের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

পাবনার খবর
এই বিভাগের আরো খবর