শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৪ ১৪৩১ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১ ডিসেম্বর ২০১৮
পাবনা-৩ আসনে বিএনপির অস্তিত্ব নির্ভর করছে মনোনয়নের উপর
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৩(চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর) আসনে বিএনপির অস্তিত্ব সংকটপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে দেশের অন্যান্য জেলা উপজেলার মত। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় দুর্নীতি ও অপরাধমূলক কর্মকান্ডের কারণে প্রচারণামূলক কার্যক্রম থেকে আগে থেকেই পিছিয়ে বিএনপি। পাবনা ৩ আসনের বিএনপি নেতা কর্মীরা জানান এ আসনে তাদের অস্তিত্ব নির্ভর করছে দলীয় মনোনয়নের উপর। এ আসনের বিএনপি নেতা কর্মীরা আরো জানান এ আসনে বিএনপি মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে মতবিরোধ বিরাজ করছে তাই সঠিক ব্যাক্তি মনোনয়ন না পেলে এ আসন থেকে বিএনপির নাম চিরতরে মুছে যাবে।
পাবনা-৩ আসন থেকে এবার ৩ জন কে মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি তারা হলেন ,চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, ফরিদপুর উপজেলার বাসিন্দা সাবেক বিমান বাহিনীর প্রধান ফখরুল আযম রনি ও চাটমোহর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান হাসাদুল ইসলাম হীরা। কিন্তু ভোট যুদ্ধে মনোনয়ন পাবেন ১ জন। নির্ভরযোগ্য সূত্র হতে জানা যায় মনোনয়ন প্রশ্নে ৩ উপজেলাতেই বিএনপি কর্মীদের মধ্যে টানাপোড়েন বিদ্যমান। সূত্র মোতাবেক ২ লাখ ১৫ হাজার ভোটের এলাকা চাটমোহর উপজেলা ভোটের দিক থেকে আসনটির শীর্ষে রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ফরিদপুর উপজেলা ৯৬ হাজার ভোট নিয়ে এবং ৯১ হাজার ভোট নিয়ে আসনটির সবচেয়ে ছোট উপজেলা ভাঙ্গুড়া। ৩ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ১ হাজার। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে এ আসনে বিএনপির জয় পরাজয় নির্ভর করবে দলীয় প্রভাব ও আঞ্চলিকতার উপর।
নির্ভরযোগ্য সূত্র মোতাবেক:পাবনা -৩ আসনে চাটমোহর উপজেলার ভোটার সংখ্যা অন্য দুই উপজেলার মিলিত ভোটারের চাইতেও দ্বিগুন। চাটমোহর উপজেলা আসনটির সবচেয়ে বড় এলাকা হলেও বিগত দুটি সংসদ নির্বাচনে এ উপজেলা থেকে বিএনপি কোন প্রার্থী দেয় নি। আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য ও এবারের নৌকার প্রার্থী আলহাজ্ব মকবুল হোসেন ভাঙ্গুড়ার বাসিন্দা হয়েও চাটমোহরের ভোটারদের কাছে নবম সংসদ নির্বাচন থেকেই বেশ জনপ্রিয়।সাধারণ ভোটারদের ধারণা, এবারের নির্বাচনে দুবারের সাংসদ মকবুলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে টিকে থাকতে চাইলে চাটমোহর থেকে বিএনপির প্রার্থী দিতে হবে। অন্যথায় নির্বাচনী মাঠে বিএনপির টিকে থাকা হুমকির মুখে পড়বে।
অন্যদিকে ফরিদপুর উপজেলা থেকে সাবেক বিমান বাহিনীর প্রধান ফখরুল আযম রনি মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি চূড়ান্ত মনোনয়ন পাবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা আসনের মোট ভোটারের চার ভাগের একভাগেরও কম হওয়ায় সামগ্রিক নির্বাচনী ফলাফলে কোনো প্রভাব ফেলতে পারবে না। বিএনপি নেতাদের মতে,ফখরুল আযম মনোনয়ন পেলে দলের নেতা-কর্মীরাও মাঠে নামবে কিনা সন্দেহ তাদের। কেননা শীর্ষ দু-চার জন নেতা ছাড়া ফখরুল আযমের সঙ্গে দলের নেতাকর্মীদের কখনো পরিচয়ই হয়নি। এছাড়া কে এম আনোয়ারুল ইসলাম ও হাসাদুল ইসলাম হীরার অন্তদ্বন্দের কারণে সঠিক প্রার্থী মনোনীত না করলে এ আসনে আওয়ামীলীগ বিজয়ী হওয়ার পাশাপাশি হুমকির মুখে পরবে বিএনপির অস্ত্বিত।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়