শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৬ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০১৮
‘মাশরাফি’ নামটা সব সময়ই ছিল সকলের অনুপ্রেরণা। অনেকেই ভেবেছিলেন হয়ত রাজনীতির মাঠে হয়ত কিছুটা খুয়েবেন সেই সুনাম। কিন্তু হলো তার বিপরীত। নামের সুবিচারই করলেন অধিনায়ক। নির্বাচনী প্রচারণার মাঠেও সবার চেয়ে ব্যতিক্রম। এখানেও সফল তিনি। হয়ে উঠলেন সকলের কাছে অনুপ্রেরনার৷ পাত্র।
কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর নির্বাচনী খরচ বাবদ প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ের কথা মাশরাফিকে ধারণা দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা। তিনি তখন সাফ জানিয়ে দেন, ‘টাকার বিনিময়ে কেন ভোট হবে? আমাকে যোগ্য মনে করলে লোকে ভোট দেবে। যোগ্য মনে না করলে ভোট দেবে না।’
নির্বাচনী প্রচারণাতেও বারবার মাশরাফি বলেছেন, ‘আমাকে যোগ্য মনে করলে বিবেচনা করবেন।’
এ বিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ইতনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ সিহানুক রহমান বলেন, ‘মাশরাফি এ পর্যন্ত নির্বাচনসংক্রান্ত কোনো টাকা খরচ করেননি। আমরা আওয়ামী লীগ নেতারা প্রত্যেকে যার যার এলাকার দায়িত্ব নিয়ে নির্বাচন চালাচ্ছি।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং লোহাগড়া ইউপি চেয়ারম্যান শিকদার নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মাশরাফির পরিবার থেকে এক কাপ চাও খাইনি। টাকা ছাড়া যে নির্বাচন হয়, তা এই প্রথম দেখলাম। তবে মাশরাফির প্রতি সাধারণ জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আগ্রহ থাকার কারণে এটি সম্ভব হচ্ছে।’
নির্বাচনী প্রচারণার জন্য মাশরাফি ২২ ডিসেম্বর নড়াইলে আসেন। পথসভা ও মতবিনিময় মিলে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫০ বার বক্তব্য দিয়েছেন। সব জায়গায় এক থেকে দেড় মিনিটের মধ্যে ছিল তার বক্তব্য। এসব বক্তব্যে তিনি প্রতিপক্ষ দল বা প্রার্থীদের কারও প্রতি বিষোদগার করেননি।
নির্বাচনী প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় এমন কাজ মাশরাফি করেননি। মাশরাফির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের প্রার্থী ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপির) চেয়ারম্যান এ জেড এম ফরিদুজ্জামান। নির্বাচনী প্রচার নিয়ে এনপিপির জেলা আহ্বায়ক বেলাল আহমদ বলেছেন, মাশরাফি খুবই ভালো মানুষ। প্রতিপক্ষকে সম্মান দিয়ে তিনি নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুকুল কুমার মৈত্র বলেন, মাশরাফির বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো অভিযোগ এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়