যে গ্রামে ১১০ বছর পর হলো মেয়ের বিয়ে
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১ নভেম্বর ২০২৩
১১০ বছর পর গ্রামে ঢুকেছে প্রথম কোনো বরযাত্রী। শুনতে অবাক লাগলে বা প্রাচীন কোনো কাহিনি মনে হলেও বিষয়টা তেমন নয়। এটি ২০১৯ সালের একটি বাস্তব কাহিনি। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের রাজস্থানে। দেশটির সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজস্থানের জয়সলমের এবং বারমের জেলায় এমন কয়েকটি গ্রাম রয়েছে যেখানে জন্ম এবং মৃত্যু একই সঙ্গে আসে। এ সব গ্রামে কন্যাসন্তানদের জন্মের পরই মেরে ফেলা হয়। গ্রামগুলোতে কন্যা সন্তানদের অভিশাপ বলে মনে করা হয়। ফলে বহু পরিবারে কন্যা সন্তান জন্ম নিলে তাকে মেরে ফেলার রীতি রয়েছে।
রীতিতে বিশ্বাসী নয় এমন স্থানীয়দের একাংশ জানান, বিষয়টি নিয়ে সরকার ও স্থানীয় প্রশাসন অবগত। এমনকি পুলিশও বিষয়টি জানে। সরকারের পক্ষ থেকে এটি আটকানোর চেষ্টা করলেও তেমন কোনো লাভ হয়নি। তবে বিভিন্ন সমীক্ষা অনুসারে বর্তমানে এমন ঘটনা অনেক কমেছে। তবে এখনও এটি পুরোপুরি বন্ধ হয়নি।
সংবাদমাধ্যম ‘ক্রাইম টক’-এর প্রতিবেদন অনুসারে, জয়সলমের এবং বারমের জেলায় এমন ছয়টি গ্রাম রয়েছে। এসব গ্রামে কন্যাসন্তান জন্মের হার অনেক কম। গ্রামগুলো হলো দেওড়া, তেজমালতা, মোরা, রাসলা, ডোগরি এবং মোরান। এরমধ্যে এমন একটি গ্রাম রয়েছে যেখানে ১১০ বছর পর কোনো মেয়ের বিয়ে হয়েছে। ওই গ্রামটির নাম দেওড়া। গ্রামটিতে ১১০ বছর পর ২০১৯ সালে প্রথম কোনো মেয়ের বিয়ে হয়েছে। বর, বরকন্দাজ নিয়ে বরযাত্রী সেই গ্রামে ঢুকেছিল ১১০ বছর পর।
জয়সলমেরের দেওড়া ছাড়া তেজমালতা, মোরা, রাসলা, ডোগরি এবং মোরান গ্রামেও এমন প্রথা রয়েছে। সেখানে অনেক কন্যাসন্তানকেই পৃথিবীর আলো দেখার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মেরে ফেলা হয়।
রাজস্থানের গ্রামগুলোতে এমন প্রচলনের বিষয়ে জানা যায়, মুঘলরা রাজস্থানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে আধিপত্য বিস্তারের সময় তাদের সেনারা মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন গ্রাম থেকে রাজপুত মেয়েদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করত। বিভিন্নভাবে শারীরিক নির্যাতন করা হতো তাদের। মূলত রাজপুতদের অপমান করতেই নাকি এই জুলুম চালাত মুঘলরা। আর তাই বাড়ির মেয়েদের মুঘল সেনাদের লালসা এবং অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচাতেই না কি জন্মের পরে কন্যাসন্তান মেরে ফেলার প্রথা চালু হয় রাজস্থানের বহু গ্রামে।
মুঘলদের পর ব্রিটিশরা এসেছে। ১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনও হয়েছে। তবে কন্যাসন্তানকে মেরে ফেলার এই প্রথা বন্ধ হয়নি। কেবল মেরে ফেলার কারণ বদলেছে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেয়েদের পড়াশোনা এবং বিয়েতে খরচ বাঁচানোর জন্যই না কি এখন জন্মের পর তাদের মেরে ফেলা হয় রাজস্থানের বহু গ্রামে। সেই প্রথা এখনও প্রচলিত বহু পরিবারে।
এসব গ্রামে বেশির ভাগ সময়ই সন্তানসম্ভবাদের প্রসবের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় না। গ্রামের বয়স্ক মহিলাদের সাহায্যেই সন্তানের জন্ম হয়। যারা কাজটি করেন তাদের ‘দাই মা’ বলে। এ নারীদেরই কন্যাসন্তান জন্ম নিলে মেরে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে দাই মা রাজি না হলে জন্মদাত্রীর উপরেই এটি এসে বর্তায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জন্মের ১-২ ঘণ্টার মধ্যেই কন্যাসন্তানদের মেরে ফেলা হয়। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ভারী বালিশ বা মাটির ছোট বস্তা বাচ্চাটির মুখের ওপর রেখে দেওয়া হয়। যাতে মনে হয়, শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে স্বাভাবিকভাবেই মৃত্যু হয়েছে সন্তানের।
গ্রামগুলোতে এসব কন্যাসন্তানদের আফিম খাইয়ে দেওয়া, মুখে এবং নাকে বালু বা তুলো ঢুকিয়ে হত্যার প্রথা রয়েছে। হত্যার পর এসব শিশুদের মরদেহ রাজস্থানের মরুভূমির বালির নিচে চাপা দেওয়া হয়।
জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পর এ নিয়ে সরকার উদ্যোগী হয়েছে। প্রশাসনের দাবি, বর্তমোনে পরিস্থিতি অনেকটাই বদলেছে। তবে এ প্রথা বন্ধ হয়নি এখনও।
গ্রামে কন্যাসন্তান হত্যার প্রভাব পড়েছে পুরুষদের ওপরও। দেওড়াসহ এ ছয় গ্রামে বহু পুরুষ অবিবাহিত থেকে যান। তারা বিয়ের জন্য উপযুক্ত মেয়ে খুঁজে পান না। এ ছাড়া কন্যাসন্তান মেরে ফেলার রীতির কারণেও অনেক পরিবার এই গ্রামগুলোতে মেয়েদের বিয়ে দিতে রাজি হন না। সুত্র-কাল বেলা
পাবনার খবর- ভাঙ্গুড়ায় বসতবাড়িতে আগ্নিকান্ড
- নিখোঁজের সাত দিন পর ঈশ্বরদীতে যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
- ঈশ্বরদীর অন্যতম প্রধান মাদক কারবারী রুনু গ্রেফতার
- চাটমোহরে ‘হিট স্ট্রোকে’ কৃষকের মৃত্যু
- সুজানগরে সহপাঠ্যক্রম ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা
- পাবনায় চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড
- রোগীর প্রতি অবহেলা বরদাশত করব না
- স্কুলে থাকবে না দ্বিতীয় শিফট
- কোরবানির জন্য এক কোটি ৩০ লাখ গবাদিপশুর জোগান রয়েছে:
- চলতি বছর মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনা করবে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড
- মে থেকে বাংলাদেশে ফ্লাইট চালু করবে ইথিওপিয়ান ও এয়ার চায়না
- চলতি মাসের ২৬ দিনে এলো ১৬৮ কোটি ডলার
- বাজেট হবে জনবান্ধব
- রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পাঁচ সন্ত্রাসী আটক
- রুমায় সেনা অভিযানে দুই কেএনএ সন্ত্রাসী নিহত
- তাপদাহে দেশে লবণ উৎপাদনে রেকর্ড
- ফরিদপুরের ঘটনায় জড়িতদের ছাড় নেই
- প্রধানমন্ত্রী আজ দেশে ফিরছেন
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের দুই সদস্য নিহত
- পাবনায় বিদ্যুতায়িত হয়ে ইসলামি বক্তার মৃত্যু
- পাবনায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন
- মেয়েদের ছবি এডিট করে ফেসবুকের মাধ্যমে ব্ল্যাকমেইলিং করতেন তারা
- পাবনায় তাপপ্রবাহে বেঁকে গেল রেললাইন, দেরিতে গেল ট্রেন
- ভাঙ্গুড়ায় বৃষ্টির জন্য ইস্তিসকার নামাজ আদায়
- ভাঙ্গুড়ায় উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রাসেলের পথসভা
- পাবনায় বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
- ১০ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩ ব্যাংক কর্মকর্তা বরখাস্ত
- ঈশ্বরদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের দুই সদস্য নিহত
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কুকি-চিনের দুই সন্ত্রাসী নিহত
- নতুন ১১ জেলা যুক্ত হচ্ছে রেল নেটওয়ার্কে
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কেএনএফের দুই সদস্য নিহত
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন সন্ত্রাসী নিহত
- পাবনায় সাপের দংশনে গৃহবধূর মৃত্যু
- ভাঙ্গুড়ায় ৩ পদে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ
- সাঁথিয়ায় হাট ভেঙ্গে দিলেন এসিল্যান্ড
- পাবনায় মাচায় চাষ হচ্ছে তরমুজ, স্বাবলম্বী হচ্ছে কৃষক
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন
- সিসি ক্যামেরার আওতায় আসবে কক্সবাজার
- নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু
- পাবনার তাপমাত্রা ৪২.৪ ডিগ্রি
- যমুনায় বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর ৪.৮ কিমি এখন দৃশ্যমান
- ঈশ্বরদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু
- আড়াই মাসে টিআইএনধারী বেড়েছে ২ লাখ
- পাবনায় অগ্রণী ব্যাংক থেকে ১০ কোটি টাকা উধাও, গ্রেপ্তার ৩
- বান্দরবানে সেনা অভিযানে কুকি-চিনের দুই সন্ত্রাসী নিহত
- বৃষ্টির জন্য পাবনায় ইসতিসকার নামাজ
- পাবনায় তাপপ্রবাহে বেঁকে গেল রেললাইন, দেরিতে গেল ট্রেন
- পাবনায় মাটির পুতুল পোড়াতে গিয়ে দগ্ধ শিশুর মৃত্যু
- দেশের ওষুধ যাচ্ছে ১৫৭ দেশে
- বুকে ব্যথা হওয়ার কিছু কারণ
- দেশে নাবালিকা অবস্থাতেই সতীত্ব হারায়!
- জেনে নিন সরিষার তেলের ৫ গুণ
- লকডাউনে মন ভালো রাখবেন যেভাবে
- নিজেকে যোগ্য মনে করতে পারছেন না!
- বন্ধুর প্রেমে পড়েছেন?
- কোভিড নিয়ে উদ্বিগ্ন বয়স্করা, কোন উপায়ে নিয়ন্ত্রণে রাখবেন
- বিয়ের আগে কেন নারীদের মনে হাজারো প্রশ্ন?
- দাম্পত্যে প্রেম ফিরিয়ে আনার কৌশল
- জিমে টাইট ফিট পোশাক নয়!
- করোনা প্রতিরোধে যা যা খাবেন
- মোবাইল, চশমা আর বাজারের ব্যাগও হতে পারে করোনার কারণ
- আজকের রাশিফল
- চুল পড়া বন্ধের উপায়
- এক হাত, এক পায়ের জীবন সংগ্রাম