ব্রেকিং:
সংসার চালানো কষ্ট হলেও বাপ-দাদার পেশা ধরে রেখেছেন চাটমোহরের শাঁখা পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় টানা ৪০ দিন নামাজ পড়ে বাইসাইকেলসহ বিভিন পাবনার সাবেক ওসির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতার অভিযোগ পাবনায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্প আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পাবিপ্রবির তিন শিক্ষার্থীর কৃতিত্ব পাবনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন "মুতআহ বিয়ে, গুপ্তচর ক্যাথরিন শাকদাম ও ইরানের নিরাপত্তা: এক রাষ্ট সেনাবাহিনী বিচার প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

শনিবার   ১২ জুলাই ২০২৫   আষাঢ় ২৮ ১৪৩২   ১৬ মুহররম ১৪৪৭

পাবনার খবর
সর্বশেষ:
সংসার চালানো কষ্ট হলেও বাপ-দাদার পেশা ধরে রেখেছেন চাটমোহরের শাঁখা পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় টানা ৪০ দিন নামাজ পড়ে বাইসাইকেলসহ বিভিন পাবনার সাবেক ওসির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতার অভিযোগ পাবনায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্প আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পাবিপ্রবির তিন শিক্ষার্থীর কৃতিত্ব পাবনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন "মুতআহ বিয়ে, গুপ্তচর ক্যাথরিন শাকদাম ও ইরানের নিরাপত্তা: এক রাষ্ট সেনাবাহিনী বিচার প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
২৭

পাবনায় স্লুইসগেটের পানি ছাড়ায় এক রাতে ডুবল কয়েক শ বিঘা জমির ধান

পাবনার খবর

প্রকাশিত: ৯ জুলাই ২০২৫  

পাবনার সুজানগর উপজেলার গাজনার বিল এলাকায় স্লুইসগেটের পানি ছেড়ে দেওয়ার ফলে তলিয়ে গেছে কয়েক শ বিঘা জমির আমন ধান। এতে বিপাকে পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। তারা অভিযোগ করছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কৃষকদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই পানি ছেড়ে দিয়েছেন।

সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সুজানগর উপজেলার বাদাই গ্রামের অংশে যেখানে এ সময় সামান্য পানি থাকার কথা, সেখানে পুরো বিল পানিতে ডুবে গেছে। কোথাও কোথাও ধানগাছের কেবল সবুজ মাথা দেখা যাচ্ছে, বাকিগুলো পানির নিচে।

কৃষকদের ভাষ্যে, ‘একরাতেই পানিতে তলিয়ে গেছে শত শত বিঘা জমির ধান। আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি।’

তারা জানান, আমন ধান চাষে খরচ কম, এবং এটি সারা বছরের খাবারের একটি বড় উৎস। তাই এই ধানের ক্ষতিতে তাদের জীবন ও জীবিকা হুমকির মুখে পড়েছে।

এ সময় কৃষকরা আরও বলেন, তালিমনগর স্লুইসগেটের পানি হঠাৎ ছেড়ে দেওয়ায় গাজনার বিলের আমন ধান তলিয়ে গেছে। যদি কয়েকদিন পরে পানি ছাড়া হতো, তাহলে এমন ক্ষতি হতো না।

তাদের অভিযোগ, ইউএনও কৃষকদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

একজন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বলেন, এক রাতের মধ্যে ধান সব ডুবে গেছে। এর আগে কখনো এমন হয়নি।

এ বিষয়ে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, ‘বিলের পাটচাষীদের চাহিদা এবং মৎস্য সম্পদের বিষয় বিবেচনায় জুলাইয়ের শুরুতেই পানি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাছাড়া জোয়ারের পানির সঙ্গে রেনু পোনা বিলে আসে, এ বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। গত ১ জুলাই পানি ছাড়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘যদি কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হন, কৃষি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদেরকে প্রণোদনার মাধ্যমে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারুক হোসেন চৌধুরী জানান, ‘কৃষকরা আমাদের অনুরোধ করেছিলেন যাতে পানি ধীরে ধীরে ছাড়া হয়। আমরা তা ইউএনও মহোদয়কে জানিয়েছিলাম। তবে উঁচু এলাকার পাটচাষীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ইউএনও বাধ্য হয়ে পানি ছেড়েছেন। এখন যদি পাম্প হাউজের মাধ্যমে পানি টেনে নেওয়া হয়, তাহলে বেশিরভাগ ধান রক্ষা পাবে।’

উল্লেখ্য, এ বছর সুজানগর উপজেলায় ২ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ হয়েছে। এর বিপরীতে ৪ হাজার ৩৭৭ মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

পাবনার খবর
এই বিভাগের আরো খবর