সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৫ ১৪৩১ ২০ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভুয়া আইডি খোলা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিষিদ্ধ। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় আইনেও এটি নিষিদ্ধ। ভুয়া আইডি চিহ্নিত হলে সঙ্গে সঙ্গে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তা বন্ধ করে দিচ্ছে। এর মাধ্যমে কোন অপরাধ সংঘটিত হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও পদক্ষেপ নিচ্ছে।
আসুন জেনে নেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা অন্য কোনো মাধ্যমে ভুয়া আইডি ব্যবহার করা নিয়ে ইসলাম কী বলছে :
ইসলামে সব ধরনের বেআইনি কাজই নিষিদ্ধ। ইসলাম ধর্মে আঘাত হানছে না বা ক্ষতি করছে না এমন যেকোনো রাষ্ট্রীয় ও আইনি বিধি-নিষেধ সর্বসাধারণের মেনে চলা আবশ্যক।
ফেসবুকসহ অন্যান্য মাধ্যমে ভুয়া আইডির মাধ্যমে সাধারণত যেসব অপরাধ হয়ে থাকে, তা হলো-
► মানুষকে ধোঁকা দেয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালনা করা হয়। ► সমাজে অস্থিতিশীলতা তৈরি করা হয়। দাঙ্গা-হাঙ্গামাসহ নানা ধরনের অনৈতিক, অসামাজিক ও অনৈসলামিক অপরাধ ঘটানো হয়। ► দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়। ► ব্যক্তিগত আক্রোশ, অশ্লীল মন্তব্যসহ উসকানিমূলক কাজ করা হয়। ► গুজব ও মিথ্যা তথ্য প্রচারের মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা হয়। ► ধর্মীয় বিদ্বেষ, উসকানিসহ অবমাননাকর লেখা, মন্তব্য ইত্যাদি করা হয়।
এসব কারণে ভুয়া আইডি ব্যবহার করা উচিত নয়। কারণ ভুয়া আইডি ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে যেমন বেআইনি; তেমনি দেশীয় আইনেও এর ব্যবহার বেআইনি। এ ধরনের আইডি ব্যবহার প্রতারণার শামিল। প্রতারণা বা ধোঁকাবাজি ইসলামে জায়েজ না। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে প্রতারণা করে, সে আমার দলভুক্ত নয়।’ (মুসলিম: ১০২)।
তিনি (সা.) আরও বলেন, ‘নিশ্চয়ই প্রতারণাকারীর জন্য আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন একটি পতাকা উত্তোলন করবেন। তখন বলা হবে, এটি অমুকের ধোঁকাবাজির পতাকা।’ (বুখারি: ৬৯৬৬; মুসলিম: ৪৪২৫)
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়