বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ বৈশাখ ১৮ ১৪৩১ ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ৫ মে ২০১৯
নেপাল থেকে পাবনায় এসে নজর কেড়েছে নীল কৃষ্ণচূড়া। গাছটি বাংলাদেশে এসে এবারই প্রথম ফুটিয়েছে তার ফুল। শহরের বনমালী শিল্পকলা কেন্দ্রের আঙিনায় ফুটে থাকা নীল কৃষ্ণচূড়া পথচারীদেরও নজর কাড়ছে। রৌদ্রের তাপ থেকে চোখকে প্রশান্তি দিতে শহরবাসীর চোখ আটকে যাচ্ছে গাছে শােভাবর্ধন করা কৃষ্ণচূড়ার দিকে।
কৃষ্ণচূড়ার কমলা-লাল আগুন রাঙানাে স্বস্তি দেওয়া আনন্দের চেয়ে নীল কৃষ্ণচূড়ার স্নিগ্ধতা আরও বেশি মনােহর হয়ে ধরা পড়েছে দর্শনার্থীদের চোখে। গ্রীষ্মের আগুনঝরা সময়ে প্রকৃতির রঙিন আয়ােজন চোখকে প্রশান্তি দেয়। বৈশাখে প্রকৃতিকে রাঙিয়ে তােলে।
কৃষ্ণচূড়া, রাধাচূড়া, কনকচূড়া, সােনালু, জারুল, লাল সােনাইল, গুলাচি, স্বর্ণচাঁপা, পালাম, কুরচি, কাঠগােলাপ, ডুলিচাঁপা, উদয়পদ্ম, মধুমঞ্জুরী, নাগকেশর, নাগলিঙ্গম, হিজল, লাল ঝুমকোলতা ইত্যাদি ফুল। এবার সেই তালিকায় যােগ হয়েছে নীল কৃষ্ণচূড়া। কৃষ্ণচূড়া নামেই যেমন চোখের সামনে ভেসে ওঠে উজ্জ্বল কমলা-লাল রঙের দাউদাউ আগুন।
সেই আগুনের মাঝে এবার পাবনাবাসীর চোখে স্নিগ্ধতার ছোঁয়া দিয়েছে শহরের আগুন্তক নীল কৃষ্ণচূড়া। নীল কৃষ্ণচূড়াকে অনেকে নীলকণ্ঠ নামেও ডাকেন। নীল গুলমােহর নামে পরিচিত ভারতবর্ষের অনেক স্থানে। গুলমােহর কৃষ্ণচূড়ার আরেকটি নাম। নীল কৃষ্ণচূড়া ফুলের জন্য বিখ্যাত দক্ষিণ আফ্রিকার শহর প্রিটোরিয়া। শহরের রাস্তায় অংসখ্য নীল কৃষ্ণচূড়া জন্য শহরটিকে লােকে জ্যাকারান্ডার শহর (নীল কৃষ্ণচূড়া শহর) নামেও জানে। নেপালের রাস্তাতেও দেখা মেলে।
পৃথিবীর উষ্ণ এলাকা এর দেখা মিললেও আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া মহাদেশ ছাড়াও ইউরােপেও গাছটির সহজেই দেখা মেলে। তবে শীতপ্রধান দেশের চেয়ে গরম আবহাওয়ার দেশ নীল কৃষ্ণচূড়ার পছন্দের। ভেষজ চিকিৎসা ছাড়াও দামি কাঠের জন্যও রয়েছে এর কদর। নামের মিল থাকলেও কৃষ্ণচূড়ার এবং নীল | কৃষ্ণচূড়ার পরিবার ভিন্ন।
নীল কৃষ্ণচূড়ার বৈজ্ঞানিক নাম Jacaranda mimosifolia আর ইংরেজি নাম Blue Jacaranda । | কৃষ্ণচূড়া ফ্যাবেসি পরিবারের অন্তর্গত অন্যদিকে নীল কৃষ্ণচূড়া বিগ্নোনিয়াস পরিবারের। উভয় ফুলকেই কোথাও কোথাও গুলমােহর নামেও ডাকা হয়। কৃষ্ণচূড়ার আদি নিবাস আফ্রিকার মাদাগাস্কার। আর নীল কৃষ্ণচূড়ার দক্ষিণ আমেরিকা।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়