শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ বৈশাখ ২০ ১৪৩১ ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২৩
নাইটগার্ডের ডিউটি করার সময় গভীর রাতে হঠাৎ মো. আরব আলীর (৬৫) ফোনে কল আসে। নিজেকে জিনের বাদশার পরিচয় দিয়ে ধর্মের নানান বিষয়ে কথা বলেন এবং আল্লাহর নামে শপথ করান। এরপর নানা সময়ে প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় ওই জিনের বাদশা। কথিত এমন দুইজন জিনের বাদশাকে গ্রেফতার করেছে পাবনার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী।
এর আগে বুধবার (১৪ জুন) রাতে পাবনা, গাইবান্ধা এবং বগুড়ার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে পাবনার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেফতাররা হলেন—গাইবান্ধার গোবিন্ধগঞ্জ উপজেলার মিরুপাড়া এলাকার মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে মো. আব্দুর রশিদ (৫০) এবং একই এলাকার মৃত. সাফায়াতুল্লাহ প্রামানিকের ছেলে মো. আবু মিয়া (৩৮)।
ভুক্তভোগী আরব আলী প্রাং (৬৫) পাবনার চাটমোহর উপজেলার সারোরা পূর্বপাড়ার মৃত আছের উদ্দিনের ছেলে।
পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুন্সী বলেন, প্রায় ৬ মাস আগে মো. আরব আলী চাটমোহর নতুন বাজারে নাইট গার্ডের ডিউটি করাকালীন সময় গভীর রাতে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে তাকে আল্লাহর নামে শপথ করান। এসময় ধর্মীয়ভাবে ইসলামের নানা বিষয়ে মিথ্যা কথা বলে ও প্রলোভন দেখিয়ে তার ধর্মীয় বিশ্বাসকে পুঁজি করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে তার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।
এসব কথা কাউকে জানালে তার পরিবারের যেকোনো সদস্য মারা যাবে বলে ভয় দেখায়ে বিষয়টি তাকে গোপন রাখতে বাধ্য করে। পরবর্তীতে ১৩ জুন পুনরায় কল করে জিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে জায়নামাজ কেনার জন্য ২১ হাজার টাকা দাবি করে। এরপর ভুক্তভোগী চাটমোহর থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
তিনি জানান, অভিযোগের পর আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং মোবাইল ফোনের সিডিআর পর্যালোচনা করে পাবনা ডিবির একটি চৌকষ দল পাবনা, গাইবান্ধা এবং বগুড়ার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অভিযুক্ত জ্বিনের বাদশা চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন এবং যে সকল বিকাশ নম্বরে টাকা নিয়েছে সে সকল মোবাইল সিম জব্দ করা হয়।
গ্রেফতাররা দীর্ঘদিন যাবত জ্বিনের বাদশা পরিচয় দিয়ে গভীর রাতে নিরীহ সহজ-সরল ধর্মপ্রাণ মুসলমাদের ধর্মীয় অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে এবং গুপ্তধন পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ও জিনের নামে প্রাণনাশের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বিভিন্ন অজুহাতে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিতো বলেও জানান পুলিশ সুপার।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়