শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ বৈশাখ ১৯ ১৪৩১ ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১ জানুয়ারি ২০২৪
দাবার টানে কয়েক বছর আগে পাবনা থেকে ঢাকায় এসে থিতু হয়েছেন ক্যান্ডিডেড মাস্টার সাকলাইন মোস্তফা সাজিদ। সাফল্যও পেয়েছেন। শেখ রাসেল ৪১তম জাতীয় জুনিয়র (অনুর্ধ্ব-২০) দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে ওপেন বিভাগে পুলিশের হয়ে খেলে মাস্টার সাকলাইন ৯ খেলায় সাড়ে আট পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। আট পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ফিদে মাস্টার মনন রেজা নীড় হয়েছেন অপরাজিত রানার-আপ।
এক রাউন্ড আগেই বালিকা বিভাগে মহিলা ফিদে মাস্টার ওয়াদিফা আহমেদের অপরাজিত শিরোপা নিশ্চিত হলেও ওপেন (বালক-বালিকা একত্রে ) বিভাগে চ্যাম্পিয়নশিপ নির্ধারিত হয়েছে আজ। ফিদে মাস্টার মনন রেজা নীড় ও ক্যান্ডিডেট মাস্টার সাকলাইন আট রাউন্ড পর্যন্ত সাড়ে সাত পয়েন্ট নিয়ে যুগ্মভাবে শীর্ষে ছিলেন। শেষ রাউন্ডে ক্যান্ডিডেট মাস্টার সাকলাইন আয়ান রহমানকে হারান আর ফিদে মাস্টার নীড় স্বর্নাভো চৌধুরীর সঙ্গে ড্র করেন। এতেই শিরোপা নিশ্চিত হয় সাকলাইনের।
জাতীয় জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন সাকলায়েন বলেছেন, ‘আমার অনেক ভালো লাগছে। আসলে স্বপ্নের মতো লাগছে। জুনিয়র দাবায় আমি চ্যাম্পিয়ন হয়েছি।’ জুনিয়র দাবায় গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমানের পুত্র ফিদে মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া এই টুর্নামেন্টে খেলেছেন, ছিলেন অন্যরাও। তাই সাকলাইন বলেছেন, ‘শিরোপা জিততে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। তাহসিন ভাই, নীড়ের সঙ্গে লড়াই করে প্রথম হওয়াটা বেশ কঠিনই। নীড়ের সঙ্গে ড্র এবং তাহসিন ভাইকে হারানোর পর শিরোপা জেতার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।'
দাবার টানেই নিজ জেলা পাবনা ছেড়ে ঢাকায় এসেছেন সাকলাইন। রাজারবাগ পুলিশ লাইন স্কুলে পড়াশোনার পাশাপশি দাবাই তার ধ্যানজ্ঞান। পাবনায় করোনা সময়ে দাবায় হাতেখড়ি সাকলাইনের। তার কোচ আন্তর্জাতিক মাস্টার আবু সুফিয়ান বলেছেন, ‘ওর মেধা ও দাবার প্রতি আগ্রহের জন্য পাবনা থেকে ঢাকায় এসেছে। প্রায় এক বছর আমার কাছে দাবার অনুশীলন করছে। মহানগর দাবার পর এবার জাতীয় জুনিয়রে চ্যাম্পিয়ন হয়ে তার প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছে।’
সাকলাইনের বড় বোন সোহানা আফরোজ শোভা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে সম্প্রতি ব্যাংকিং পেশায় যোগদান করেছেন। সাকলাইনকে ফেডারেশনে খেলতে নিয়ে যাওয়াসহ ঢাকায় অভিভাবকের দায়িত্বে আছেন তিনি।
ভাইয়ের সাফল্য দেখে উচ্ছ্বাসটা বেশি , ‘পরিবার সব সময় সাকলাইনের দাবার আগ্রহকে সম্মতি দিয়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশ পুলিশও তাকে যথেষ্ট সহায়তা করেছে। স্কুলে ভর্তির পাশাপাশি মাসিক ভাতাও প্রদান করেছে। তার এই সাফল্যে আমরা সবাই খুশি এবং আগামীতে তাকে বড় দাবাড়ু হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করবো।’
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়