বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১ নভেম্বর ২০২২
দুবলার চরে শুরু হয়েছে শুঁটকির মৌসুম। এ মৌসুম চলবে আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত। ৫ মাস ধরে জেলেরা থাকবেন এ চরে। ইতোমধ্যেই থাকার জন্য চরে গিয়ে ঘর বাঁধছেন জেলেরা। তৈরি করছেন মাছ শুকানোর চাতাল ও শুঁটকি সংরক্ষণের গোডাউন।
ব্যস্ত জেলে-মহাজনেরা এসব কাজ সম্পন্ন হলেই গভীর সমুদ্রে নানা প্রজাতির মাছ আহরণে ট্রলার নিয়ে নেমে পড়বেন। প্রজাতিভেদে মাছ বাছাই করে শুঁটকি তৈরি করে বাজারজাত করে থাকেন তারা।
গতবারের তুলানায় এবার দুবলার চরে জেলেদের সমাগম বেশি হয়েছে। গত মৌসুমে ৯ শতাধিক জেলেকে ঘর দেওয়া হলেও এবার দেওয়া হয়েছে সহস্রাধিক। বেড়েছে ডিপো ও দোকানের সংখ্যাও। ১ হাজার ৩০টি জেলে-মহাজনদের ঘর, ৬৩টি ডিপো ও ৯৬টি দোকানে অনুমোদন দিয়েছে বনবিভাগ।
এসব ঘরে জেলে-মহাজনেরা থাকবেন। ডিপোর মালিকেরা জেলেদের কাছ থেকে মাছ কিনবেন। এছাড়া দোকানের মধ্যে মুদি, জ্বালানি তেল, সেলুন ও ওষুধসহ বিভিন্ন সুবিধা দিয়ে জেলেদের চাহিদা পূরণ করা হবে।
শুরু থেকেই এ মৌসুম নির্বিঘ্ন করতে জেলেদের টহল ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে থাকবে র্যাব, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও বনবিভাগ। অবশ্য সাগরে এখন দস্যুতা তেমন না থাকায় জেলেরা নির্ভয়ে মাছ শিকারসহ শুঁটকির কারবার করতে পারছেন।
জেলেদের দাবি, চরে টেকসই সাইক্লোন শেল্টার, বয়া বাতি, দুর্যোগ সংকেত ও সুপেন পানির ব্যবস্থা যেন করা হয়।
তাদের বড় দাবি হলো, একটি অস্থায়ী ভাসমান হাসপাতাল স্থাপন। কিন্তু তাদের এ দাবি দীর্ঘ বছরেও পূরণ হয়নি।
জেলেরা বলেন, হাসপাতালটি খুবই জরুরি। চরে জেলেরা হঠাৎ করেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হন। তখন হাসপাতালের অভাবে আহত ও অসুস্থদের ট্রলারে নিয়ে যেতে হয় শহরে।
তারা বলেন, আমরা প্রতি মৌসুমে কয়েক কোটি টাকা সরকারকে রাজস্ব দিয়ে আসছি, কিন্তু আমাদের একমাত্র সুচিকিৎসা ব্যবস্থার দাবি থাকলেও তা উপেক্ষিত হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই, হাসপাতাল না হওয়া পর্যন্ত একটি হাইস্পিড বোটের ব্যবস্থা করবেন। তাহলে অন্তত অসুস্থ ও আহতদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে।
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, চরে একটি মৌসুমভিত্তিক হাসপাতাল দেওয়ার প্রস্তাবনা ও পরিকল্পনা রয়েছে। আপাতত হাসপাতাল না থাকলেও হাসপাতালের আদলে ওষুধের দোকানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দুর্যোগের বিষয়ে সর্তক করতে চরে টেলিটকের নেটওয়ার্ক রয়েছে। তবে সেখানে আশ্রয়কেন্দ্রের প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়