ব্রেকিং:
সংসার চালানো কষ্ট হলেও বাপ-দাদার পেশা ধরে রেখেছেন চাটমোহরের শাঁখা পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় টানা ৪০ দিন নামাজ পড়ে বাইসাইকেলসহ বিভিন পাবনার সাবেক ওসির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতার অভিযোগ পাবনায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্প আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পাবিপ্রবির তিন শিক্ষার্থীর কৃতিত্ব পাবনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন "মুতআহ বিয়ে, গুপ্তচর ক্যাথরিন শাকদাম ও ইরানের নিরাপত্তা: এক রাষ্ট সেনাবাহিনী বিচার প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ

শনিবার   ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫   আশ্বিন ১২ ১৪৩২   ০৪ রবিউস সানি ১৪৪৭

পাবনার খবর
সর্বশেষ:
সংসার চালানো কষ্ট হলেও বাপ-দাদার পেশা ধরে রেখেছেন চাটমোহরের শাঁখা পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় টানা ৪০ দিন নামাজ পড়ে বাইসাইকেলসহ বিভিন পাবনার সাবেক ওসির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতার অভিযোগ পাবনায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাচ্ছে মৃৎশিল্প আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় পাবিপ্রবির তিন শিক্ষার্থীর কৃতিত্ব পাবনায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন "মুতআহ বিয়ে, গুপ্তচর ক্যাথরিন শাকদাম ও ইরানের নিরাপত্তা: এক রাষ্ট সেনাবাহিনী বিচার প্রক্রিয়া ও মানবাধিকার রক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ
৩৪৫৮

সাঁথিয়ায় স্কুল ভাঙচুর ও শিক্ষককে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদে

পাবনার খবর

প্রকাশিত: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫  

পাবনার সাঁথিয়ায় মিয়াপুর হাজী জসিম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ভাঙচুর ও শিক্ষককে লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা।

বুধবার সকাল ১১টার দিকে প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি বনগ্রাম-মিয়াপুরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে প্রতিবাদ সভায় মিলিত হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষকদলের কেন্দ্রীয় নেতা ইমদাদুল হক, সাঁথিয়া উপজেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মনোয়ার পারভেজ মানিক প্রমুখ। প্রতিবাদ সভা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানানো হয়।

প্রসঙ্গত,  গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও শিক্ষককে লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠে ছাত্রশিবিরের স্থানীয় কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে।

প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকদের অভিযোগ, গত ১৫ সেপ্টেম্বর মিয়াপুর হাজী জসীম উদ্দীন স্কুল এন্ড কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান চলছিল। এ উপলক্ষে সকাল থেকে সাজসজ্জার কাজ চলছিল। হঠাৎ শিবির নেতা সোহানের নেতৃত্বে কিছু নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হয়ে দলীয় কর্মসূচি পালন করার কথা বলে। উপস্থিত শিক্ষকরা তাদের চলে যেতে বললে তারা বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। একপর্যায়ে কাঠের বাটাম, হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ক্যামেরা ও তিনটি শ্রেণিকক্ষের জানালা ভাঙচুর করে তারা। এ সময় বাধা দেওয়ায় কয়েকজন শিক্ষককে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ করেন শিক্ষকরা।

এ বিষয়ে ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রশিবিরের সভাপতি সোহান হোসেন বলেন, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর কলেজ ক্যাম্পাসে কর্মসূচি পালন করার জন্য আমি অধ্যক্ষের নিকট লিখিত অনুমতির জন্য গিয়েছিলাম। এ সময় আওয়ামীপন্থী শিক্ষক বজলু স্যার আমাকে আটকে রাখে এবং খারাপ ব্যবহার করে। এ সময় আমি ফোন দিলে আমাদের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হলে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে কিছু শিক্ষক বাটাম ও লাঠি দিয়ে আমাদের মারধর করেছে, আমরা কোনো হামলা বা ভাঙচুর করিনি।

সোহান হোসেন আরও জানান, শিক্ষকদের মারধরের শিকার হয়ে তাদের কর্মী আব্দুল মজিদ আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, ছাত্রশিবিরের লোকজন সেদিন লিফলেট বিতরণ করতে গেলে এসব ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রশিবির ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উভয়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। খবর পেয়ে সেদিন ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। এ ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ছাত্রশিবিরের পক্ষ থেকে পৃথক মামলা হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাবনার খবর
এই বিভাগের আরো খবর