শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৬ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১১ মে ২০১৯
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি নিয়মিত হাটাহাটি করছেন, জিম করছেন। আগামী ১৫ মে তিনি দেশে ফিরতে পারেন, দেশে এসে আগামী ২৫ মে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সেতুমন্ত্রী যোগ দেবেন বলা জানিয়েছেন সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম।
শুক্রবার (১০ মে) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই কথা জানান তিনি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সদ্য প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায় ওবায়দুল কাদের একটি কক্ষে বা জিমে সাইক্লিং মেশিনে প্যাডেল ঘুড়াচ্ছেন। ভিডিওটিতে তাকে বেশ সুস্থ, স্বাভাবিক এবং উৎফুল্ল মনে হচ্ছিল। কয়েকদিন আগে তার হাটাহাটি করার একটি ভিডিও প্রকাশ হয়। অবস্থার উত্তরণ ঘটায় একটি ফ্লাইটে তার দেশে ফেরার প্রস্তুতি চলছে।
সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, ২৫ মে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ওবায়দুল কাদের থাকবেন, এমনটাই আশা করছি। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভয়াবহ যানজট নিরসনে এই সেতু দুটি বড় ভূমিকা রাখবে, এমন আশা বারবার ব্যক্ত করেছিলেন মন্ত্রী। বহুবার সরেজমিনে সেতু দুটির নির্মাণ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শনও করেন তিনি।
সেতুমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতেই গত ১৬ মার্চ দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু উদ্বোধন করা হয়। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ওবায়দুল কাদের সুস্থ হয়ে ফিরে এলে তাকে নিয়েই সেতুটি দেখতে যাবেন।
সিঙ্গাপুরে অবস্থানকারী সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সেতু বিভাগের তথ্য কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ জানিয়েছেন, আগের মতো যেন ঈদের সময় রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলো পরিদর্শন করে যাত্রীদের খোঁজখবর নিতে পারেন সেজন্য ওবায়দুল কাদের দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
সিঙ্গাপুরে ওবায়দুল কাদেরকে দেখে এসে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এক সপ্তাহ আগে বলেছিলেন, 'সেতুমন্ত্রী এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। শিগগিরই দেশে ফিরবেন তিনি।'
সফল বাইপাস সার্জারির পর গত ৫ এপ্রিল সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতাল থেকে ওবায়দুল কাদেরকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। এরপর থেকে চিকিৎসার ফলোআপের জন্য হাসপাতালের কাছেই একটি অ্যাপার্টমেন্টে থাকছেন তিনি। হাসপাতালের চিকিৎসকরা নিয়মিত তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ওবায়দুল কাদের। সেখানে এনজিওগ্রাম করার পর তার করোনারি ধমনিতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। উপমহাদেশের বিখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠির পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ৪ মার্চ তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। এরপর গত গত ২০ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ওবায়দুল কাদেরের বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়