শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ৫ মার্চ ২০২১
সেই বিৃটিশ আমলে ভারতবর্ষে রেলপথ নির্মাণের সময় পদ্মা নদীর পাকশী-ভেড়ামারার সংযোগ সৃষ্টির জন্য নির্মাণ করা হয় ঐতিহাসিক হার্ডিঞ্জ ব্রিজ । ১৯১৫ সালের ৪ মার্চ পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশীতে এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজের উদ্বোধন করা হয়।
আজ ২০২১ সালে এর বয়স ১০৭ বছর পূর্ণ হলো। এটি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রেলসেতু। এখনও এই ব্রিজটি দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অনেক মানুষ প্রতিবছর পাকশীতে আসেন।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে সেতু প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, ১৯০৯ সালের প্রথম ভাগে প্রাথমিক জরিপ, জমি অধিগ্রহণ ও প্রয়োজনীয় পাথর সংগ্রহের কাজ শুরুর মধ্য দিয়ে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নির্মাণকাজ শুরু হয়। এর কাজ শেষ হয়েছিল ১৯১৪ সালের ডিসেম্বরে। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর পরীক্ষামূলকভাবে ১৯১৫ সালের ১ জানুয়ারি ব্রিজের ওপর দিয়ে মালগাড়ি ও ২৫ ফেব্রুয়ারি আপ মালগাড়ি চালানো হয়।
১৯১৫ সালের ৪ মার্চ ভারতের তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড হার্ডিঞ্জ এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর ব্রিজের ওপর দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য তা উন্মুক্ত করা হয়।
পরে তার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় ‘হার্ডিঞ্জ ব্রিজ’। এই ব্রিজের নির্মাণশৈলী অপূর্ব। ১৫টি গার্ডার সম্বলিত ব্রিজটি শতবছর আগের প্রকৌশলীদের কর্মদক্ষতার স্বাক্ষর বহন করে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে উত্তর-দক্ষিণবঙ্গের সাথে পাকহানাদার বাহিনীর রেলওয়ে যোগাযোগ বন্ধ করতে ভারতীয় মিত্রবাহীনির একটি বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ করা হয়। বোমার আঘাতে ধ্বংস হয় হার্ডিঞ্জ ব্রিজের স্প্যানের একটি অংশ। দিনটি ছিল ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর। কুষ্টিয়া-ভেড়ামারা এবং পাবনার পাকশী এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান ছিল।
পাক হানাদার বাহিনী এই খবর জানার পর তাদের সমর শক্তি বৃদ্ধি করতে রেলওয়ে ব্রিজ ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিলে তৎকালীন ইপিআর এর ওয়ারলেস থেকে বিষয়টি অবহিত করা হয় বলে জানা যায়। এই খবর পাওয়ার পর মিত্র বাহিনীর একটি যুদ্ধ বিমান থেকে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের উপর বোমা নিক্ষেপ করা হলে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের ১২ নম্বর স্প্যান ভেঙ্গে পড়ে। যোগাযোগ বিচ্ছন্ন হয়ে যায়। রণকৌশলে মুক্তিযোদ্ধারা আরও এগিয়ে যায়। জানা যায়, বোমা আঘাতে ১২ নম্বর গাডার স্প্যানটি ভেঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়