শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২১
আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে পাবনার সুজানগর পৌরসভার নির্বাচন। বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ কর্তৃক নির্বাচনের স্থগিতাদেশ খারিজ হওয়ায় নির্বাচন কমিশন নতুন তারিখ নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
সোমবার (১২ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা রওশন আলীর কাছে পাঠানো হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রওশন আলী মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকালে প্রজ্ঞাপনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগের তফসিল অনুযায়ী আগামী ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে সুজানগর পৌরসভার নির্বাচন এবং গত ২৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের তারিখ ছিল। কিন্তু প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আগেই সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড মেম্বার সিদ্দিকুর রহমান হাইকোর্টে রিট করেন। গত ১৫ ডিসেম্বর সুজানগর পৌরসভার নির্বাচন ৩ মাসের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।
এরই মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আইজীবী ওই স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতের আপিল বেঞ্চে আবেদন করেন। গত ৩ জানুয়ারি ওই আবেদনের শুনানি শেষে আদালত রাষ্টপক্ষের আবেদন যথার্থ বিবেচনা করে নির্বাচন স্থগিতাদেশের ওই রিট খারিজ করে দেন।
নির্বাচন কমিশন ওই স্থগিতাদেশ খারিজের প্রেক্ষিতে নির্বাচনের আগের তফসিলের অন্যান্য কার্যক্রম অপরিবর্তিত রেখে তৃতীয় ধাপের তফসিলে আগামী ৩০ জানুয়ারি সুজানগর পৌরসভার ভোট গ্রহণ এবং ১৪ জানুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নতুন তারিখ নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন ও পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম রেজা মঙ্গলবার সকালে জানান, সুজানগর পৌরবাসী ন্যায়বিচার পেয়েছেন।
তারা জানান, ভুল তথ্য দিয়ে নির্বাচনের সময়কে প্রলম্বিত করার চেষ্টা করেছিলেন একটি মহল।
এদিকে রিটকারী সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ১৯৯৮ সালে সুজানগর পৌরসভা প্রতিষ্ঠাকালে সাবেক সুজানগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মথুরাপুর, নারায়ণপুর ও কৃঞ্চপুর গ্রাম অজ্ঞাত কারণে পৌরসভা থেকে বাদ দেয়া হয়।
পরবর্তী সময়ে সুজানগর পৌরসভার নির্বাচিত চেয়ারম্যান, মেয়র এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কাছে ওই তিন এলাকার জনসাধরণ পৌরসভায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করেন। এরপর ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী আব্দুল ওহাব পৌর মেয়র নির্বাচিত হন।
এরপর আবারও ওই তিন এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ সাধারণ মানুষ তিন এলাকাকে পৌরসভায় অন্তর্ভুক্তির জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ১৭ এপ্রিল এবং একই বছরের ৬ আগস্ট উল্লেখিত তিন এলাকা সুজানগর পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত করে সরকারি গেজেট প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে আমরা পৌরসভার সব সুযোগ সুবিধাও ভোগ করছি।
কিন্তু পৌরসভার বর্ধিত নতুন শহর এলাকার ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করেই নির্বাচন কমিশন পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন। এজন্যই তিনি বঞ্চিত ৩ গ্রামবাসীর পক্ষে মহামান্য হাইকোর্টে রিট করেছিলেন। চূড়ান্ত সরকারি গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে নির্বাচনের দাবিতে এলাকাবাসী কয়েক দফা মানববন্ধনসহ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বলে তিনি জানান।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়