‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনা
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১৪ আগস্ট ২০২০
স্বাধীনতার পর দেশে ফিরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তুলতে নানামুখী উদ্যোগ নেন।
সবার আগে শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তা ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা হাতে নেন তিনি। তাই প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক করেন, পাশাপাশি গুরুত্বারোপ করেন কর্মমুখী শিক্ষার ওপর। প্রতিষ্ঠা করেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসম্পন্ন গবেষণাকর্ম বাড়ানোর তাগিদ দেন।
বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন- শিক্ষা একজন শিক্ষার্থীর নিজেকে, তার পরিবেশ-প্রতিবেশ, মানুষ, সমাজ, সংস্কৃতি, ভাষা, সাহিত্য, কৃষ্টি, শিল্পকলা, দেশ, ইতিহাস-ঐতিহ্য, মানুষের জীবনসংগ্রাম, মানবসভ্যতা ইত্যাদি সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেয়।
শিক্ষা একজন মানুষকে সচেতন, সংবেদনশীল, নৈতিক, সৃষ্টিশীল, আত্মপ্রত্যয়ী ও মানবিক গুণে গুণান্বিত করে তোলে। তবে এজন্য থাকা চাই সুশিক্ষা বা সত্যিকার শিক্ষা। কেননা সুশিক্ষার মূলে থাকে দেশ, মানুষ ও মানবকল্যাণ।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির মুক্তিসংগ্রামের মূল লক্ষ্য ছিল তাদের জন্য একটি গণতান্ত্রিক, মানবকল্যাণকামী, অসাম্প্রদায়িক জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। শাসকগোষ্ঠীর ঔপনিবেশিক ধাঁচের প্রতিক্রিয়াশীল শিক্ষানীতিবিরোধী বাংলার ছাত্রসমাজের শিক্ষা আন্দোলন জাতীয় মুক্তির বৃহত্তর আন্দোলনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত হয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু একটা কথা প্রায়ই বলতেন, ‘সোনার বাংলা গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই।’ অর্থাৎ মানবিক গুণে গুণান্বিত দক্ষ জনসম্পদ। আর এটি করতে হলে প্রয়োজন সুশিক্ষা।
গবেষণানির্ভর এ সুশিক্ষা বাস্তবায়ন করতে স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নকালে অন্যান্য বিষয়ের সঙ্গে শিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়।
’৭২-এর সংবিধানে ‘রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি’ অংশে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সংবিধান অনুযায়ী, ‘রাষ্ট্র (ক) একই পদ্ধতির গণমুখী ও সর্বজনীন শিক্ষা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সব বালক-বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের জন্য,
(খ) সমাজের প্রয়োজনের সহিত শিক্ষাকে সঙ্গতিপূর্ণ করিবার জন্য এবং সেই প্রয়োজন সিদ্ধ করিবার উদ্দেশ্যে যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও সদিচ্ছাপ্রণোদিত নাগরিক সৃষ্টির জন্য, (গ) আইনের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরক্ষরতা দূর করিবার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবে।’
১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে দেশবাসীর উদ্দেশে দেয়া বঙ্গবন্ধুর ভাষণেও তার শিক্ষাভাবনা সম্বন্ধে আমরা সম্যক ধারণা পাই।
ভাষণে তিনি বলেছিলেন, সুষ্ঠু সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা খাতে পুঁজি বিনিয়োগের চেয়ে উৎকৃষ্ট বিনিয়োগ আর কিছু হতে পারে না। নিরক্ষরতা অবশ্যই দূর করতে হবে। ৫ বছর বয়স্ক শিশুদের বাধ্যতামূলক অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষাদানের জন্য একটা ‘ক্যাশ প্রোগ্রাম’ চালু করতে হবে। মাধ্যমিক শিক্ষার দ্বার সব শ্রেণির জন্য খোলা রাখতে হবে।
দ্রুত মেডিকেল ও কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয়সহ নতুন নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দারিদ্র্য যাতে উচ্চশিক্ষার জন্য মেধাবী ছাত্রদের অভিশাপ হয়ে না দাঁড়ায়, সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
বাংলাদেশের নারীদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধিতেও পদক্ষেপ নেন বঙ্গবন্ধু। এ ক্ষেত্রে তাকে সহযোগিতা করেছেন বঙ্গামাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব।
১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের প্রথম বার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধনকালে বঙ্গবন্ধু তার ভাষণে শিক্ষার উদ্দেশ্য ও নারী শিক্ষা সম্বন্ধে বলেন, ‘শতকরা ২০ জন শিক্ষিতের দেশে নারীর সংখ্যা আরও নগণ্য। ... ক-খ শিখলেই শিক্ষিত হয় না, সত্যিকারের আলোকপ্রাপ্ত হইতে হইবে।’
যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ আর ধ্বংসপ্রাপ্ত অর্থনীতি সত্ত্বেও স্বাধীনতার পর শিক্ষাক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর সরকার অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত দেশি-বিদেশি শত্রুদের গভীর ষড়যন্ত্রের ফলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের উপস্থিত সব সদস্যসহ অত্যন্ত নির্মম-নিষ্ঠুরভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এর মাধ্যমে থমকে যায় বাংলার মানুষের স্বপ্ন দেখা।
পিতার অসমাপ্ত স্বপ্ন বাস্তবায়ন এবং স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় যুগোপযোগী পদক্ষেপ নিয়েছেন তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্ব শিক্ষাক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের উদ্যোগ মূলত বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাভাবনারই ফসল।
দীর্ঘদিন ধরে আমাদের দেশে জাতীয় শিক্ষানীতি বলতে কিছু ছিল না। পাকিস্তান আমল থেকে শুরু করে স্বাধীনতাত্তোর বহুবার ব্যর্থ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
অবশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের আমলে ২০১০ সালে সর্বমহলের মতামতের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সমাজ বাস্তবতা, যুগের চাহিদা ও দেশের প্রয়োজন উপযোগী একটি সর্বজনগ্রাহ্য জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণীত হয়, যা এখন বাস্তবায়নাধীন।
প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়, যেখান থেকে যুগোপযোগী ও আধুনিক শিক্ষা গ্রহণ করে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত হবে এ দেশের তরুণ-যুবারা। তারাই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে তুলবে আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। মুজিব শতবর্ষে এ হোক ব্রত।
অধ্যাপক ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ : উপাচার্য, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর
পাবনার খবর- এভিয়েশন শিল্পে সহযোগিতা করতে চায় যুক্তরাজ্য
- ৩ শতাংশের বেশি শেয়ার দর কমতে পারবে না
- বে-টার্মিনালে বিনিয়োগ হবে দশ বিলিয়ন ডলার
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মে থেকেই অভিযান
- আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণে সহায়তা করতে চায় ভারত
- মডেল ঘরে পেঁয়াজ সংরক্ষণ কৃষকের মধ্যে সাড়া
- ব্যাংক একীভূত হলেও আমানত সুরক্ষিত থাকবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
- হজযাত্রীদের সহযোগীতার আশ্বাস সৌদির
- আইনের আওতায় আসবে সব ধরনের অনলাইন সেবা
- সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ
- থাইল্যান্ডে প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা
- পাবনায় মাটির পুতুল পোড়াতে গিয়ে দগ্ধ শিশুর মৃত্যু
- পাবনায় পাউবোর দুই প্রকৌশলীকে জেলহাজতে প্রেরণ
- বৃষ্টির জন্য পাবনায় ইসতিসকার নামাজ
- ডিজিটাল জরিপকালে জমির মালিকদের জানাতে হবে
- পদে থেকেই উপজেলা নির্বাচন করতে পারবেন ইউপি চেয়ারম্যানরা
- বিমানবন্দর-গাজীপুর বিআরটি করিডোরের জন্য কেনা হচ্ছে ১৩৭টি এসি বাস
- ঢাকার পয়ঃবর্জ্য ও গ্যাস লাইন পরীক্ষা-নিরীক্ষা কমিটি গঠনের নির্দেশ
- আমানতের মুনাফার ওপর কর দিতে হবে না
- চলছে কয়লা খালাস, জাহাজেই ফিরবেন সব নাবিক
- দুই মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন চান হাইকোর্ট
- ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
- সম্পর্ক নতুন উচ্চতায়
- কাতারের সঙ্গে ১০ চুক্তি-সমঝোতা
- প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন
- ভাঙ্গুড়ায় ৩ পদে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ
- মুক্তিযুদ্ধ ও মুজিবনগর সরকার নিয়ে গবেষণার আহ্বান
- গ্যাস খাতে বড় সংস্কার করবে পেট্রোবাংলা
- বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে চায় কিরগিজস্তান
- নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু
- পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
- ‘মাই লকারে’ স্মার্টযাত্রা
- সেনাবাহিনীর অভিযানে কুকি-চিন সন্ত্রাসী নিহত
- পাবনায় সাপের দংশনে গৃহবধূর মৃত্যু
- চাটমোহরে গমের ভালো ফলন ও দামে কৃষকের মুখে স্বস্তির হাসি
- পাবনায় দুই দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌঁড় প্রতিযোগিতা শুরু
- পাবনায় হিটস্ট্রোকে ১ জনের মৃত্যু
- পাবনায় অস্ত্র ও গুলিসহ এক যুবক গ্রেপ্তার
- দেশের মধ্যে ভ্রমণে আগ্রহ বাড়ছে
- সাঁথিয়ায় হাট ভেঙ্গে দিলেন এসিল্যান্ড
- ভাঙ্গুড়ায় ৩ পদে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ
- এবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় জ্বালানি তেল যাবে পাইপ লাইনে
- সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আসছেন আরও ৪ লাখ মানুষ
- চাষাবাদ সহজ করতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়াচ্ছে সরকার
- ফের আশা জাগাচ্ছে লালদিয়া চর কনটেইনার টার্মিনাল
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন
- দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
- দেশব্যাপী ৩ দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
- বিআরটিএর অভিযানে ৪০৫ মামলা, ১০ লাখ টাকা জরিমানা
- নোয়াখালীর নতুন গ্যাস কূপে খনন কাজ শুরু
- নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রামে ইলেক্ট্রিক ট্রেন
- ভারত থেকে পাইপলাইনে সরাসরি আসবে ডিজেল
- পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হবে তিন সেকেন্ডে : মাসে আদায় ১৫০ কোটি টাকা
- ভারতে বাংলাদেশি তৈরি পোশাক রপ্তানিতে উল্লম্ফন
- শিপ ব্রেকিংয়ে বিশ্বে এক নম্বরে বাংলাদেশ
- পেঁয়াজ উৎপাদনে ১০ম স্থান থেকে তৃতীয়তে বাংলাদেশ
- ইউরোপে বাংলাদেশের পোশাকের দাপট
- নিবিড় তদারকিতে দুর্বল ১০ ব্যাংক
- পরিত্যক্ত কলাগাছে তৈরি হচ্ছে উন্নত মানের সুতা : ঝিনাইদহ
- বদলে গেছে পতেঙ্গা
- দক্ষিণাঞ্চলে নির্মাণ হবে নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু
- বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি, তিন শিফট চালুর প্রথম দিনে উৎপাদন ২৭৩১ টন
- বাড়ছে বগুড়া বিমানবন্দরের রানওয়ে
- পোশাক রপ্তানিতে ভিয়েতনামকে টপকালো বাংলাদেশ
- প্রথমবারের মতো সরাসরি জাহাজে ইউরোপ যাচ্ছে তৈরি পোশাক