শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২১
পাবনার সুজানগর-আতাইকুলা ও সুজানগর-চিনাখড়া পাকা সড়কের বেহাল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ সংস্কার না হওয়ায় পাবনা জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগের আওতাভুক্ত আঞ্চলিক এ দুইটি মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বড়-বড় গর্ত আর খানা খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় চলাচলের জন্য একেবারেই অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে।
সড়কের বেশিরভাগ স্থানে খানাখন্দ এবং প্রচুর ধুলাবালির সৃষ্টি হওয়ায় পায়ে হেঁটে চলাচল সম্ভব নয়। যানবাহনে চলাচল করতে হয়। তারপরও যানবাহন যেতে চায়না লক্কর-ঝক্কর এ দুটি সড়ক দিয়ে। আর একটু বৃষ্টি হলে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দুইটি পরিণত হয় জলাশয়ের। সড়কে যানবাহনসহ জনসাধারণের চলাচল করতে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ।
এ অবস্থায় সড়কগুলোতে প্রায়শ ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। গতকাল সরেজমিন দুইটি সড়ক ঘুরে দেখা যায় সুজানগর আতাইকুলা সড়কের নিউগির বনগ্রাম থেকে তাঁতীবন্দ হয়ে আতাইকুলা পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার এবং সুজানগর থেকে পোড়াডাঙ্গা হয়ে চিনাখড়া পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়কের বেশিরভাগ স্থানেই খানাখন্দের পাশাপাশি বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ভাঙাচুরা রাস্তায় সার্বক্ষণিক ধুলাবালুতে নাকাল হয়ে পরেছে পুরো এলাকা।
এতে করে স্থানীয় বসবাসকারী ও পথচারীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরেছে। সুজানগর থেকে আতাইকুলা যাওয়ার জন্য একমাত্র এই সড়কের ইজিবাইক চালক আলতাব হোসেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেন, এটি কোনও সড়ক হল। কেউ দেখেনা মানুষের দুর্গতি। প্রায়শ এই সড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কটি দ্রুত মেরামত করার জন্য তিনি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের প্রতি দাবি জানান।
সুজানগর থেকে চিনাখড়া যাওয়ার একমাত্র প্রধান সড়কে চলাচলকারী সিএনজি অটোরিক্সা চালক ফরিদ হোসেন জানান, খানাখন্দের কারণে সড়কটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে বিভিন্ন যানবাহন প্রায়শই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। এতে অনেকে আহত হচ্ছেন। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা উচিত বলে জানান।
পথচারী শরিফুল ইসলাম জানান বড় কষ্টে আছি ভাই। এটি সড়ক নয় যেন মরণ ফাঁদ। কেউ এই সড়কের খবর নেয়না। সারাদেশে উন্নয়ন হচ্ছে অথচ এই সড়কের খোঁজ কেউ নেয় না।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী একেএম শামসুজ্জোহা জানান, ২০১৯ সালে এ দুটি রাস্তার কাজ শুরু করা হয় এবং শেষ হওয়ার কথা ছিল গত বছরের জুন মাসে। কিন্তু রাস্তার কাজের নিয়োজিত ঠিকাদার নির্ধারিত সময়ে কাঙিক্ষত অগ্রগতি অর্জন করতে না পারায় তাদের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়। পুনরায় দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করে অতি শীঘ্রই সড়ক দুটির মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়