শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২১
বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে আদর্শ শিক্ষার্থীর নীতি-নৈতিকতা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতাসহ নানা বিষয়ের ওপর ক্লাস নিয়েছেন চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। (১৩ নভেম্বর)শনিবার সকালে তিনি সুজানগর উপজেলার তাঁতীবন্দ ইউনিয়নে তাঁর স্ত্রী প্রয়াত জাহানারা কাঞ্চনের নামে প্রতিষ্ঠিত জাহানারা কাঞ্চন স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে সপ্তম ও নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পাশাপাশি একজন আদর্শ শিক্ষার্থীর নীতি-নৈতিকতা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা সহ নানা বিষয়ে আলোকপাত করেন।
এবং রাস্তায় দুর্ঘটনা এড়াতে সকল শিক্ষার্থীকে সাবধানতা অবলম্বন করে চলাচলের পরামর্শ প্রদান করেন। এছাড়া শিক্ষার মানোন্নয়ন-শিক্ষকদের পাঠদান পদ্ধতি-শিক্ষার পরিবেশ-শিক্ষার্থীদের শিখনীয় বিষয়াদির খোঁজখবরও নেন অত্র বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। পরে অত্র বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীনের সভাপতিত্বে ও প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় শিক্ষক সহ স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গের সাথে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি।
সভায় উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা মো.রওশন আলী, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম,একাডেমিক সুপারভাইজার মনোয়ার হোসেন প্রমুখ বক্তব্য দেন। মতিবিনিময় সভায় শিক্ষকদের উদ্দেশে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন,কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এ গ্রেড পর্যায়ে নিয়ে যেতে হলে সকল শিক্ষকদের দক্ষ, আন্তরিক ও দায়িত্বশীল হতে হবে।
সেই দায়িত্বশীল থেকে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান বাড়াতে কাজ করলে তবেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভালো পর্যায়ে পৌঁছায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষা দিয়ে ভালো পর্যায়ে পৌঁছালে সরকারের নজর পরে। তখন সরকারের আগ্রহ সৃষ্টি হয় অবকাঠামো উন্নয়নে।
এ জন্য সকল শিক্ষককে আন্তরিকতা,সততা ও নিষ্ঠার সাথে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের আহ্বানও জানান তিনি। প্রসঙ্গত ১৯৯৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় চিত্র নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চন মারা যাওয়ার পর ১৯৯৬ সালে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলায় তিনি তার প্রয়াত স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চনের নামে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন।
প্রতিষ্ঠার পরপরই ১৯৯৮ সালে (জুনিয়র) ও ১৯৯৯ সালে (মাধ্যমিক) পর্যায়ে পাঠদানের স্বীকৃতি লাভ করে। ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টি একাধিকবার উপজেলার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতিও লাভ করে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে প্রায় একহাজার ছাত্র-ছাত্রী পড়াশুনা করছে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়