শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৫ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২১
এক সময়ে পাবনার সুজানগরের মানুষের প্রধান অর্থকরী ফসল ছিল পাট। ঐ সময় উপজেলার মাঠে মাঠে কেবল পাট আর পাট শোভা পেত। তবে মাঝে পাটের বাজারে ধস নামায় উপজেলার কৃষকরা পাট আবাদ প্রায় ছেড়েই দিয়েছিল।
কিন্তু বর্তমানে সোনালী আঁশ পাটের সুদিন ফিরে আশায় সর্বস্তরের কৃষক আবার পাট আবাদে ঝুঁকছেন। তবে এবছর দীর্ঘ অনাবৃষ্টি আর প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয় নাই।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১০হাজার হেক্টর জমিতে। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে আবাদ হয়েছে সাড়ে ৮হাজার হেক্টর জমিতে।
উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের পাট চাষী রফিকুল ইসলাম মোল্লা বলেন প্রচ- খরার কারণে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হলেও এ বছর পাটের ফলন ভাল হবে। তাছাড়া হাট-বাজারে পাটের বাজার ও বেশ ভাল।
উপজেলার খয়রান গ্রামের পাটচাষী আবদুর রহমান বলেন প্রতি বিঘা জমিতে পাট উৎপাদন হয় ১০ থেকে ১২ মণ। আর প্রতি বিঘা জমিতে পাট চাষে উৎপাদন খরচ হয় ৭ থেকে ৮হাজার টাকা।
বর্তমানে উপজেলার হাট-বাজারে প্রতি মণ পুরাতন পাট বিক্রি হচ্ছে ৩৮‘শ থেকে ৪হাজার টাকা দরে। এ হিসাবে ১বিঘা জমির পাট বিক্রি করে কৃষকের আয় হচ্ছে উৎপাদন খরচের চেয়ে অনেক বেশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ রাফিউল ইসলাম বলেন, পাটের বর্তমান বাজার বেশ ভাল। তবে দেড় থেকে দুই মাস পর হাট-বাজারে মৌসুমী নতুন পাট উঠলে দাম কিছুটা কমতে পারে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়