রোববার ১৯ মে ২০২৪ জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১ ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪
পাবনার সুজানগরের বামন্দি গ্রামের জামাল উদ্দিন পাঁচ বছর আগেও ছিলেন ভ্যানচালক ও ভূমিহীন। এখন সংসারে তার সচ্ছলতা এসেছে। পাশাপাশি দুই বিঘা জমির মালিকও তিনি। মূলত; পেঁয়াজ চাষ করে তিনি তার সংসারে সচ্ছলতা ফিরে এনেছেন।
শুধু জামাল উদ্দিন নয়, ঐ গ্রামের রায়হান খাঁ, মতি বিশ্বাস, বজলু শেখ, মতলেব শেখ, দায়েন মোলা, হান্নান মোল্লা আজ সচ্ছল। তাদের সংসারে অভাব দূর হয়েছে। নিজস্ব দুই থেকে পাঁচ বিঘা জমি হয়েছে। কুদ্দুস মোলা, দায়েন মোলা আজ বিরাট চাষি। তারা আজ ৩০-৪০ বিঘা নিজস্ব জমিতে শুধু পেঁয়াজই চাষ করেন। পেঁয়াজ চাষ করেই তারা বিরাট সাফল্য পেয়েছেন। ৪০-৬০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করে বামন্দির আমিন মন্ডলও দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
শান্তিপুর গ্রামের গোমস্তা বাড়ির সবাই মিলে অন্তত ৩০০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করে থাকেন। পেঁয়াজ চাষ করে দিন মজুরেরা হয়েছেন লাখপতি। আর অনেক মধ্যবিত্ত কোটিপতি হওয়ার পথে!
কৃষি কর্মকর্তারা জানান, দেশে প্রতিবছর পেঁয়াজের বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ২৫ লাখ মেট্রিক টন। পাবনা জেলা থেকেই উৎপাদন হয় প্রায় সাড়ে ৬ লাখ থেকে ৭ লাখ মেট্রিক টন। যা মোট উৎপাদনের এক চতুর্থাংশের বেশি। আর পাবনা জেলার সাঁথিয়া-সুজানগর উপজেলা থেকে উৎপাদন হয় প্রায় পৌনে ৫ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। সেই হিসেবে সারাদেশে মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের এক পঞ্চমাংশ উৎপাদিত হয় পাবনার এ দুটি উপজেলা থেকে।
বাংলাদেশ ফার্মাস এসোসিয়েশন (বিএফএ) এর কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহজাহান আলী জানান, চাষি বাঁচলে দেশ বাঁচবে। চাষি একটি ফসল চাষ করেন লাভের আশায়। আশার কথা পেঁয়াজ চাষিরা এখন লাভবান হচ্ছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর পাবনা উপ-পরিচালক ড. জামাল উদ্দিন জানান, পাবনা জেলার সাঁথিয়া- সুজানগর দেশের পেঁয়াজের রাজধানী। দেশের এক চতুর্থাংশের বেশি পেঁয়াজ পাবনা জেলায় জন্মে। কৃষি বিভাগ চাষিদের পুরা মৌসুমজুড়ে পরামর্শ দিয়ে থাকে। চাষিরা লাভবান হচ্ছেন বলে তিনি জানান।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়