শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৫ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০
পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া এলাকায় জেগে উঠেছে পদ্মার বিশাল চর। এ চরে এখনও বসতি গড়ে না ওঠায় কোথাও কোনো বাড়ি-ঘর নেই। দু’চোখ যতদূর যায় ধু ধু বালুচর। মাঝেমধ্যে কাশবন ছাড়া কিছু চোখে পড়ে না। তবে পদ্মার চরে সমুদ্র সৈকতের মতো এমন নৈসর্গিক দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে যেকোনো মানুষের মন আকৃষ্ট হতে বাধ্য। এ কারণে ভ্রমণপিপাসুরা প্রতিদিন ভিড় করছেন পদ্মার চরে। দুর-দুরান্ত থেকে মানুষজন বিনোদনের জন্য ছুটে আসছেন এখানে।
সাতবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান এসএম শামছুল আলম বলেন, একসময় পদ্মার ঢেউ এলাকার মানুষের নজর কাড়ত। পদ্মার বড় বড় ঢেউ দেখতে আর প্রচণ্ড গর্জন শুনতে মানুষ ছুটে আসতো পদ্মা নদীর পাড়ে। কিন্তু এখন সেদিন আর নেই। কালের বিবর্তনে পদ্মা যৌবন হারিয়ে ফেলায় মানুষের কৌতূহল নেই।
তিনি বলেন, দুই বছর আগে পদ্মায় বিশাল চর জেগে ওঠায় সাতবাড়িয়াসহ আশপাশের ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়। বিশেষ করে পদ্মার চরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মার সরু খাল ও দৃষ্টিনন্দন সাদা কাশবন বিনোদনপ্রেমী পর্যটকদের নজর কাড়ছে।
এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান বলেন, প্রতিদিন কমবেশি পর্যটক পদ্মার চরে ঘুরতে আসেন। তবে শুক্রবার এবং শনিবার স্থানীয় পর্যটকদের পাশা-পাশি দুর-দুরান্ত থেকে শত শত পর্যটক চরে এসে বনভোজন করেন। সেই সঙ্গে পর্যটকরা পদ্মার সরু খালে নৌ-ভ্রমণ করে সময় কাটান।
পদ্মার চরে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে আসা পর্যটক ইকবাল হোসেন বলেন, পদ্মার চর, ফুলে ফুলে ভরা চরের সাদা কাশবন এবং চরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া সরু খালে প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের সৃষ্টি করেছ। পর্যটকদের কাছে পদ্মার বিশাল চর বড় বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এজন্য পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছি।
স/সা
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়