শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৫ ১৪৩০ ১৯ রমজান ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১৯ জুলাই ২০২০
পাবনার সুজানগরে পদ্মার ভাঙ্গন প্রতিরোধে ভাঙ্গন কবলিত ৬টি পয়েন্টে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে অস্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
পাবনার বেড়া পাউবোর উদ্যোগে ওই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ভাঙ্গন কবলিত ৬টি পয়েন্ট হলো উপজেলার পদ্মার তীরবর্তী গুপিনপুর, মাছপাড়া, বিলমাদিয়া, রাইপুর, মালিফা ও কামারহাট। ভাঙ্গন কবলিত রাইপুর গ্রামের বাসিন্দা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন জানান, পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পানির প্রচণ্ড তোড়ে উপজেলার সাতবাড়ীয়া, মানিকহাট এবং নাজিগঞ্জ ইউনিয়নের ওই ৬টি পয়েন্টে তীব্র ভাঙ্গন দেখা দেয়।
এতে এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, ঈদের মাঠ এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৮/১০টি প্রতিষ্ঠান এবং অর্ধশত বাড়ি-ঘর ও শত শত বিঘা ফসলী জমি ভাঙ্গনের মুখে পড়ে। ভাঙ্গন কবলিত এলাকার বাসিন্দারা বিষয়টি স্থানীয় এমপি আহমেদ ফিরোজ কবিরকে অবহিত করলে তিনি পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীকে ব্যবস্থা নিতে বলেন।
এ সময় নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ সরেজমিন পরিদর্শন করে ভাঙ্গন প্রতিরোধে অস্থায়ীভাবে ওই ৬টি পয়েন্টে প্রয়োজনীয় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নেন। ভাঙ্গন কবলিত গুপিনপুর গ্রামের বাসিন্দা জোনাব আলী এবং মাছপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নবীন শেখ বলেন বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার কারণে সাময়িকভাবে ওই সকল প্রতিষ্ঠান ও ফসলী জমি ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পাবে। তবে স্থায়ী ভাঙ্গন প্রতিরোধে টেকসই সিসিব্লকের বাঁধ নির্মাণ করতে হবে। এ ব্যাপারে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদ বলেন চলতি বর্ষা মৌসুমে ভাঙ্গন প্রতিরোধে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। তবে বর্ষা শেষে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
স্থানীয় এমপি আহমেদ ফিরোজ কবির বলেন আমার নির্বাচনী এলাকায় পদ্মা-যমুনার যে সকল পয়েন্টে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন প্রতিরোধে তাৎক্ষণিকভাবে অস্থায়ী ব্যবস্থা করা হয়েছে। আশা করছি বর্ষা শেষে স্থায়ী ভাঙ্গন প্রতিরোধে সিসিব্লকের বাঁধ নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়