শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ৩০ জানুয়ারি ২০২০
পাবনার সুজানগরের চরাঞ্চলের জমিতে শীতকালীন টমেটো চাষ করে শতাধিক কৃষকের ভাগ্য বদলে গেছে। এক সময় সংসারে অভাব-অনটন থাকলেও এখন ওই সকল কৃষকের সংসারে সচ্ছলতা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাগরকান্দী ইউনিয়নের খলিলপুর, চরখলিলপুর এবং কালিকাপুর গ্রামে রয়েছে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল। ওই সব চরাঞ্চলের জমিতে ধানপাট তেমন ভাল হয়না। বলতে গেলে কৃষকরা বেশিরভাগ সময় ওই সকল জমিতে ধানপাট আবাদ করে লোকসানে পড়েন। তবে তারা ওই জমিতে ধানপাট আবাদ করে লোকসানে পড়লেও শীতকালীন টমেটো চাষ করে সফল হয়েছেন। এ বছর শতাধিক কৃষক চরাঞ্চলের ওই জমিতে মিন্টু সুপার এবং হিরো সুপারসহ বিভিন্ন জাতের শীতকালীন হাইব্রিড টমেটো চাষ করেন। অনুকূল আবহাওয়া আর সঠিক সময়ে সার-বিষ দেওয়ায় অধিকাংশ জমিতে টমেটোর বাম্পার ফলন হয়েছে।
খলিলপুর গ্রামের টমেটো চাষী ইয়াছিন আলী বলেন, এ বছর প্রতি বিঘা জমিতে ১২০ থেকে ১৩০ মণ পর্যন্ত ফলন হয়েছে। হাট-বাজারে টমেটোর দামও বেশ ভাল।
কালিকাপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল আজিজ মন্ডল বলেন, ১বিঘা জমিতে টমেটো আবাদ করতে সার, বীজ ও শ্রমিকসহ খরচ হয় ১০/১২হাজার টাকা। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৭থেকে ৮‘শ টাকা দরে। এতে উৎপাদন খরচ বাদে প্রতি বিঘা জমির টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৮০থেকে ৮৫হাজার টাকা।
একই গ্রামের কৃষক আক্কাছ আলী বলেন, আগে আমাদের সংসারে অভাব-অনটন ছিল। কিন্তু গত ৫/৬ বছর চরাঞ্চলের ওই জমিতে টমেটো চাষ করে সংসারে সচ্ছলতা দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ময়নুল হক সরকার বলেন, চরাঞ্চলের জমিতে টমেটো চাষ করে সত্যই ওই সকল কৃষকের ভাগ্য বদলে গেছে।
স/এমএস
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়