শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০২১
সুজানগরে এক এনজিওর বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রহুল আমীন ওই এনজিওর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পাবনা জেলা প্রশাসক বরাবর গত রবিবার একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সাঁথিয়ার আত্রাইশুকা গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রুহুল আমীনের স্ত্রী হাফিজা খাতুন সুজানগর উপজেলার দুলাই শাখার টিএমএসএসের সদস্য হন ৭ বছর পূর্বে। এসময়ে তিনি বিভিন্ন সময় ৪ বার কিস্তি গ্রহণ করেন এনজিওটি থেকে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৬ ডিসেম্বর হাফিজা খাতুনের নামে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ঋণ প্রদান করেন টিএমএসএস দুলাই শাখা।
এনজিওটি ঋণের টাকা প্রদানের পূর্বে গ্রাহক হাফিজা খাতুনের স্বামীর নামীক চেক বইয়ের সাদা পাতা জামানত হিসেবে গ্রহণ করেন। সঞ্চয় আমানত ও ঋণের পাশ বহিতে গ্রাহকের নাম হাফিজা খাতুন ও অভিভাবক হিসেবে স্বামী রুহুল আমীনের নাম ব্যবহার করে পাশ বহি প্রদান করা হয়। গত ২০২০ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি গ্রাহক হাফিজা খাতুন দুই কিস্তি পরিশোধ করে অসুস্থতাজনিত কারণে মারা গেলে এনজিওর নিকট থাকা কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে গ্রাহকের নাম পরিবর্তন করে রুহুল আমীন করা হয়।
কিন্তু সঞ্চয় আমানত ও ঋণের পাশ বহিতে গ্রাহক রয়েছে হাফিজা খাতুন ও অভিভাবক হিসেবে রুহুল আমীনের নাম রয়েছে। রুহুল আমীন জানান,আমার স্ত্রী মৃত্যুর পর সংশ্লিষ্ট কর্মী ও ম্যানেজার যোগসাজেশে জালিয়াতির মাধ্যমে অভিভাবক থেকে আমাকে গ্রাহক বানিয়ে ঋণের টাকার জন্য চাপ দিয়ে আসছে। টি,এম,এস,এস এর দুলাই শাখার ম্যানেজার শামসুল আলম জানান,গ্রাহক হাফিজা খাতুন অসুস্থ হলে আমরা যাবতীয় কাগজপত্রে তার স্বামী রুহুল আমীনকে গ্রাহক করি। সঞ্চয় আমানত ও ঋণের পাশ বহিতে ভুলক্রমে নাম পরিবর্তন করা হয়নি।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়