শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারি ২০২০
পাবনার সুজানগরের ঐতিহ্যবাহী সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত ভবনে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। সেই সঙ্গে শিক্ষক-কর্মচারীরাও ওই একই ভবনে ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। যেকোন মুহূর্তে পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ওই ভবন ভেঙ্গে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।
বিদ্যালয় পরিচলানা কমিটির সভাপতি এসকে হাবিবুল্লাহ বলেন ১৯৬৪সালে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের অর্থায়নে ওই ভবনটি নির্মাণ করা হলেও অদ্যবধি সরকারিভাবে সংস্কার করা হয়নি। ফলে দীর্ঘদিনের পুরোনো ওই ভবনের বিভিন্ন জায়গায় ফাটল ধরার পাশাপাশি পলস্তারা খসে রড় বের হয়ে গেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম শামছুল আলম বলেন ২০১২ সালে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ কর্তৃপক্ষ ভবনটি পরিদর্শন করে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন এবং পাঠদান থেকে বিরত থাকতে বলেন। কিন্তু বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় ১হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। বিদ্যালয়ে আরো দু’টি ভবন থাকলেও শিক্ষার্থীদের জায়গা সঙ্কুলান হয়না। ফলে নিরুপায় হয়ে পরিত্যক্ত তথা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ওই ভবনেই শিক্ষার্থীদের পাঠদান এবং অফিসিয়াল কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়।
বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র রাকিবুল ইসলাম বলেন, একটু ভারি বৃষ্টি হলেই ওই ভবনের ছাদ দিয়ে পানি পড়ে। কখনও কখনও আবার টুকরা টুকরা পলস্তারা খসে গায়ের উপরও পড়ে থাকে। এ সময় পাঠদান বিঘিœত হয়। ৮ম শ্রেণির ছাত্র আবির হাসান বলেন শ্রেণি কক্ষে ভয়ে ভয়ে লেখা-পড়া করতে হয়। যেকোন সময় ভবনটি ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ওমর আলী মাস্টার বলেন, ১৯২০ সালে প্রতিষ্ঠিত ওই বিদ্যালয়ের অনেক ছাত্র সরকারের উর্ধ্বতন পদে কর্মরত রয়েছেন।
তাছাড়া পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়া) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য সাতবাড়ীয়ার কৃতী সন্তান আহমেদ ফিরোজ কবিরও ওই বিদ্যালয়ের ছাত্র। কিন্তু তারপরও বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমানের মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
স/এমএস
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়