শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৫ ১৪৩০ ১৯ রমজান ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১২ মে ২০২০
আজ ১২ মে পাবনা সুজানগরের সাতবাড়ীয়া গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের নিরীহ নিরপরাধ মানুষের উপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়ে গণহত্যা করে।
সাতবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম শামসুল আলম জানান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক পাবনা-২ আসনের সাবেক এমপি মরহুম আহমেদ তফিফ উদ্দিনের জন্ম ভূমি সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নে।
তাছাড়া ৬৬’র আন্দোলনেও স্থানীয় সর্বস্তরের জনতা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। সে কারণে পাক হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের এ দিন পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী উক্ত ইউনিয়নের কুড়িপাড়া, নিশ্চিন্তপুর, কাচুরী, তারাবাড়ীয়া, ফকিৎপুর, সাতবাড়ীয়া, নারুহাটি, সিন্দুরপুর, হরিরামপুর, ভাটপাড়া, বর্তমানে পদ্মা নদীতে বিলীন হওয়া কন্দর্পুর এবং গুপিনপুরসহ ১৫/২০টি গ্রামে অপারেশন চালিয়ে গণহত্যা করে।
তারা এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত ওই সকল গ্রামে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে ফকোর উদ্দিন, সমির সাহা, গোপাল শেখ, অসিত সাহা, খিতিশ সাহা এবং সেকেন্দার আলীসহ নাম নাজানা প্রায় ৪/৫‘শ নারী-পুরুষকে হত্যা করে।
এদের মধ্যে পাক হানাদার বাহিনী ও দেশীয় রাজাকাররা প্রায় দেড়‘শ জনের লাশ পদ্মা নদীতে ভাসিয়ে দেয়। শুধু তাইনা পাক হানাদার বাহিনী গণহত্যা করার পাশাপাশি গোটা ইউনিয়নে ব্যাপক লুটপাট, ধর্ষণ এবং বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ চালায়।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে বর্তমান জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নিমার্ণ প্রকল্পের আওতায় গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে সাতবাড়ীয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়