শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ৬ জানুয়ারি ২০২০
ফাইল ছবি
পাবনার সাঁথিয়ায় প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের বেহাত হওয়া সরকারি সম্পত্তি উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, উপজেলার ক্ষেতুপাড়া গ্রামে প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের সরকারি সম্পত্তি জাল কাগজপত্রের মাধ্যমে একটি চক্র দখল করে নেয়। জালিয়াত চক্রটি ইতিমধ্যে ওই জমির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা করেছে। কিন্তু বাদীপক্ষ মামলায় বারবার হেরে যায়।
সম্প্রতি ওই জমিতে বাদীপক্ষ ডিগ্রি পেয়েছেন বলে জানা যায়। তবে দীর্ঘদিন হয়ে গেলেও সরকারের তরফ থেকে আপিল করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে।
সূত্রটি আরও জানায়, উপজেলার ক্ষেতুপাড়া গ্রামের জমিদার শ্যামাচরণ রায় দীর্ঘদিন আগে জমিদারিসহ ১ দশমিক ১৯ একর জায়গার ওপর পুকুর ও ১ দশমিক ৬ একর জমির ওপর পাকা বাড়ি ফেলে ভারতে চলে যান। যার কিছু অংশ বর্তমানে ইউনিয়ন তহসিল অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, এ জমি ও পুকুর গ্রাস করার লক্ষ্যে একই গ্রামের জ্ঞানেন্দ্রনাথ তালুকদার, তার ছেলে উত্তম কুমার তালুকদার ও স্ত্রী সন্ধ্যা রানী ভূতপুর্ব তহসিলদার ইরাদ মিয়া ও রজব আলীর সহায়তায় জাল দলিল তৈরি করে তা গ্রাস করার অপচেষ্টা করেন। ইতিমধ্যে কয়েকটি খোয়া কাগজ তৈরির মাধ্যমে তারা মালিক সেজে প্রথমে পাবনা সহকারী জজ আদালতে মালিকানা দাবি করে মামলা করেন। মামলায় তারা হেরে গেলে সাবজজ আদালতে আপিল করেন। সেখানেও তারা হেরে গেলে সর্বশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন এবং যথারীতি হেরে যান বলে সূত্র জানায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ওই গ্রামের মজিবর মিয়া জানান, সম্প্রতি সাঁথিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সল রায়হান ওই পুকুরকে সরকারি সম্পত্তি হিসেবে সেখানে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেন। কিন্তু কয়েকদিন পরে কে বা কারা ওই সাইনবোর্ড চুরি করে নিয়ে যায়। সরকার পক্ষের তদবির না থাকায় সম্প্রতি বাদীপক্ষ ডিক্রি পেয়েছেন বলে জানা যায়।
মালিকানা দাবিদার উত্তম কুমার তালুকদার জানান, ১৯৭০ সালে জমিদার শ্যামাচরণের ছেলেদের কাছ থেকে তিনি কবলাসূত্রে সম্পত্তির মালিক ও ২০০৪ সালে পাবনা জজকোর্ট থেকে তিনি ডিক্রিপ্রাপ্ত হয়েছেন। খারিজ খাজনার জন্য আবেদন করা হয়েছে। ডিক্রি পাওয়ার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও সরকারের তরফ থেকে আপিল করা হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন তহসিলদার রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কাজ করছেন। তবে সরকার আপিল করলে এ সম্পত্তি ফিরে পাবে বলে আশা রাখি।
সাঁথিয়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফয়সাল রায়হান বলেন, এ জমির বিষয়ে আপিল করার জন্য সরকারের আইন বিভাগকে জানানো হয়েছে।
স/এমএস
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়