শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৫ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২০ ডিসেম্বর ২০১৯
সাঁথিয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে শিক্ষা কর্মকর্তার কটুক্তি শাস্তির দাবিতে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ৪৩ জন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান, শিক্ষক সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট স্মারকলিপি দিয়েছেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সাঁথিয়া উপজেলায় কর্মরত বর্তমান শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা পারভীন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান শিক্ষকদের দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে আসছেন। তিনি শিক্ষকদের বলেন, মক্তিযোদ্ধারা যুদ্ধ না করেই জাল সনদ বানিয়ে সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছে। একইভাবে তাদের সন্তান শিক্ষকরা জাল সনদ ব্যবহার করে লেখাপড়া না করেই সরকারি চাকরি নিয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা সন্তান শিক্ষকদের তিনি বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের গালমন্দ ও অপমানসূচক কথা বলে মানসিকভাবে আঘাত করেন। মুক্তিযোদ্ধা কোঠায় নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের তিনি “সম্পূর্ণ অযোগ্য ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের জঞ্জাল” বলে মনে করেন।
১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসে সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানস্থলে ২০/২৫জন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান শিক্ষক হাজির হয়ে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. শামসুল হক টুকু এমপির নিকট শিক্ষা কর্মকর্তার মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে দম্ভোক্তির কথা জানান। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ্যাড. শামসুল হক টুকু বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিয়ে কেউ অবহেলা বা অবজ্ঞার দৃষ্টতা দেখালে তা কোনক্রমেই বরদাস্ত করা হবেনা। তিনি অবিলম্বে বিষয়টি দেখার জন্য সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে নির্দেশনা দেন।
সাঁথিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার বলেন, এই দুর্নীতিগ্রস্ত শিক্ষা কর্মকর্তার জন্য সাঁথিয়া প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই শিক্ষা কর্মকর্তা এ বছর ১৯ আগষ্ট তার অফিসের উচ্চমান সহকারি গোলজার হোসেনের মাধ্যমে প্রকাশ্যে ঘুষ গ্রহণ করেন যার ভিডিও ভাইরাল হয়। তার বিরুদ্ধে অশালীন আচরণ, শিক্ষকদের নানাভাবে হয়রানী, অনিয়ম ও বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। তার নির্দেশ পালন করতে গিয়ে অফিস সহকারী গোলজার হোসেনকে তাৎক্ষণিক বদলী করা হলেও কোন অদৃশ্য খুঁটির জোরে তিনি বহাল তবিয়তে সাঁথিয়াতেই অবস্থান করছেন সেটাই শিক্ষকমহলের বিস্ময়।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মর্জিনা পারভীনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান,তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগসমূহ সত্য নয়। কিছু শিক্ষক তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছে।
এ ব্যাপারে পাবনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খন্দকার মনসুর রহমানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমাকে জানানো হয়নি। এ ব্যাপারে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম জামাল আহমেদের নিকট এ বিষয়ে জানার জন্য মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এমএমআই
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়