শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৫ ১৪৩০ ১৯ রমজান ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১০ অক্টোবর ২০২০
বিয়ে করায় তার নেশা। একে একে বিয়ে করেছেন চারজনকে। আর এক স্ত্রীর মামলায় তাকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। বর্তমানে জামিনে ছিলেন তিনি।
এরই মধ্যে পঞ্চমবারের মতো বিয়ের কথা বলে প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে ঘর ছেড়েছেন পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গোপালপুর মসজিদের ইমাম জাকারিয়া। নিরুদ্দেশ হওয়ার ২০ দিনের বেশি অতিবাহিত হলেও এখনও তাদের উদ্ধার করা যায়নি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলার খামার সানিলা গ্রামের বাসিন্দা ও সাঁথিয়ার কাশিনাথপুর আ. লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক খালেক মাওলানার ছেলে জাকারিয়া (৩৫)। তিনি কাশীনাথপুর ইউনিয়নের গোপালপুর আত্রাইশুকা মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
তিনি বিভিন্ন সময়ে মসজিদের পার্শ্ববর্তী মৃত ইয়াদ আলীর মেয়ে ও সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ও ১ সন্তানের জননীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। এরই এক পর্যায়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে ইমাম জাকারিয়া বিয়ের প্রলোভনে স্বর্ণালংকার ও নগদ প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকাসহ প্রবাসীর স্ত্রী নাছিমা (৩০) কে নিয়ে নিরুদ্দেশ হন।
নাছিমার পরিবারের সদস্যরা তাদের অনেক খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে ২০ সেপ্টেম্বর তার মামা আ. মান্নান বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
জাকারিয়ার ৪ নম্বর স্ত্রী শারমিন আক্তার সাথী জানান, তার স্বামী তাকেসহ ৪টি বিয়ে করেছিল। তার বিরুদ্ধে রাজশাহীর স্ত্রী চম্পা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। সে মামলায় তার ১৪ বছরের সাজা হয়। ঢাকা হাইকোর্ট থেকে তিনি জামিনে আছেন।
এর আগে সাঁথিয়ার গৌড়িগ্রামের মুক্তি নামে এক স্ত্রী মামলা করলে টাকা দিয়ে তা মীমাংসা করা হয়। সেখানে জাকারিয়ার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
শারমিন আক্তার সাথী জানান, তাকে বিয়ে করার সময় তার বাবার নিকট থেকে জাকারিয়া ৩ লাখ টাকা যৌতুক নেন। জাকারিয়া ওইদিন সুজানগর এক মসজিদের ইমামের চাকরির কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে উধাও হন।
সাঁথিয়া থানার এসআই রাশেদুল ইসলাম জানান, ইমামের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। তার বাড়ি শাহজাদপুর উপজেলায়। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়