শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৫ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২২ মে ২০২১
পাবনায় অন্তত ৪টি বিবাহ বিচ্ছেদসহ বিভিন্ন মেয়েদের সাথে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করাসহ নানা অভিযোগে গ্রেফতার সেতু এখন আদালতের আদেশে পাবনা কারাগারে। অবশেষে ভূক্তভোগীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ষণ মামলায় বৃহস্পতিবার রাতে র্যাব-১২ তাকে তাকে আটক করে ঈশ্বরদি থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে শুক্রবার জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঈশ্বরদি থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান। সেতু পাবনার সাঁথিয়া পৌরসভাধীন বোয়াইলমারী গ্রামের আকরামের ছেলে।
থানা পুলিশ ও ভূক্তভোগীর অভিযোগে জানা গেছে, ঈশ্বরদির জনৈক মেয়ের সাথে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয় পাবনার সাঁথিয়া পৌরসভাধীন বোয়াইলমারী গ্রামের আকরামের ছেলে আনিসুজ্জামান সেতুর। সেই সুত্র ধরে গত মার্চে সেতু বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই মেয়েকে হোটেলে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে ওই মেয়েটির পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে সেতুর পরিবারের নিকট বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলে তারা বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে ফিরিয়ে দেয়। শেষে উপায়ন্তর না দেখে ভুক্তভোগী ধর্ষিতা বাদী হয়ে ইশ্বরদি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দেন। পরে বৃহস্পতিবার রাতে সেতুকে র্যাব-১২ তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে ঈশ্বরদি থানায় সোপর্দ করেন।
অপরদিকে পাবনা সদরের অপর এক নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার নিকট থেকে ব্যবসার উদ্দেশ্য ৫ লাখ টাকা নেয়। তাতে ব্যবসার লভ্যংশ দেয়ার কথা থাকলেও তা দিচ্ছে না। এমনকি আসল টাকাও দিচ্ছে না। টাকা চাইতে গেলে খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে বলে পাবনা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন আরেক মেয়ে। ঈশ্বরদি থানার অফিসার ইনচার্জ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সেতুর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় তাকে আটক করা হয়েছে। শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এর আগে সেতু পর পর চারজন স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছে। পাবনা সদর থেকে আরও একটি মেয়ে এসেছিল সেতুর বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে। যেহেতু ঘটনাস্থল পাবনা সদরে সেহেতু অভিযোগ সদর থানায় দিতে বলেছি। তিনি আরও বলেন, সেতুর কাজই হচ্ছে বিয়ে করে কিছুদিন রেখে পরে ডিভোর্স দেয়া ও মেয়েদের সাথে পরিচয় করে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সাথে শারিরিক সম্পর্ক করা।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়