শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১৯ এপ্রিল ২০২১
পাবনা জেলার অন্যতম বৃহৎ রাজস্ব আদায়ের হাট সাঁথিয়া উপজেলার রসুলপুর-বনগ্রাম হাট এখন নিলাম ব্যবসায়ীদের টার্গেটে পরিনত হয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব কমার আশংকা করা হয়েছে। কোটি টাকার বাণিজ্য করার জন্য উক্ত সিন্ডিকেট কাউকে টেন্ডারে অংশ নিতে দেয়নি। এর সঙ্গে ক্ষমতাসীন দলের কিছু ব্যক্তির জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
সুত্র জানায়, গত বছর উপজেলার বনগ্রাম রসুলপুর হাট টেন্ডার নিলামে ডাক হয় ১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এবার সেই একই হাট নিলামে ডাক হয়েছে মাত্র ৩০ লাখ টাকা। সরকার নির্ধারিত মূল্য যেখানে ১ কোটি ৫ লাখ সেখানে ৪ দফা টেন্ডার আহ্বান করার পর সর্বোচ্চ মূল্য উঠেছে মাত্র ৩০ লাখ টাকা। এই মূল্য হ্রাসের কারণ হিসেবে জানা যায় প্রথম দফায় ৪টি সিডিউল বিক্রি হয়। নিলাম বা টেন্ডার ডাক মূল্য ওঠে মাত্র ৩০ লাখ টাকা। সরকার নিধারিত মূল্য বা গত বছরের টেন্ডার মূল্যের চেয়ে এবং সরকার নির্ধারিত মূল্য না হওয়ায় পরপর তিন দফা টেন্ডার আহ্বান করা হয়। কিন্তু কোন এক রহস্যজনক কারণে কেউ আর টেন্ডারে অংশ গ্রহণ করেনি। যদি সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে হাট-ঘাট-জলা’র নিলাম মূল্য কম হয় তা হলে ‘খাস কালেকসান’ করে সরকারি তহবিলে অর্থ (রাজস্ব) জমা করার বিধান রয়েছে।
রসুলপুরের ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ এবং রহমত আলী বলেন, অনুসন্ধান করলেই সরকার আবিস্কার করতে পারবে কে বা কারা সরকারি রাজস্ব নিয়ে তামাশা করছে। তারা আরও বলেন, প্রভাবশালী একটি সিন্ডিকেট এই হাট নিলামের সঙ্গে জড়িত। সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম জামাল আহমেদ বলেন, রসুলপুর-বনগ্রাম হাট সাঁথিয়া উপজেলার অন্যতম রাজস্ব আয়ের একটি উৎস। এবার ৪ দফা টেন্ডার করার পরেও নিলামে যথাযথ মূল্য না পাওয়ায় উপজেলার উন্নয়ন কাজ বিঘিœত হবার আশংকা রয়েছে। পাবনার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক শাহেদ পারভেজ বলেন, বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। সাঁথিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দেলোয়ার বলেন, একটি অসাধু চক্র হাট নিলামে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করছে। তারা কম দামে হাট নিলামে নিয়ে বাণিজ্য করার মানসে কাউকে টেন্ডারে অংশ নিতে দিচ্ছে না। এতে সরকার ন্যায্য রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। অভিযোগে প্রকাশ, টেন্ডারে অংশ গ্রহণকারীদের ভয় ভীতি প্রদর্শন করেছে একটি চক্র।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়