শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২১
সবুজ বিপ্লবের স্বপ্ন দেখেন পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মানিকুজ্জামান মানিক নামের এক যুবক। উপজেলার স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদরাসা, ঈদগাহ ও সড়কের পাশে ফলদ-বনজ ও ওষুধি গাছ লাগিয়ে সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
মানিকুজ্জামান মানিক উপজেলার আর-আতাইকুলা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের আলহাজ আবদুল বাতেন মাস্টারের ছেলে। তিনি প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার। ঠিকাদারি ব্যবসার পাশাপাশি এলাকার অসহায় মানুষকে সাহায্য-সহযোগিতাসহ সবুজায়নে কাজ করছেন তিনি।
স্থানীয়রা জানান, করোনা মহামারি শুরু হলে অসহায়-কর্মহীনদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ শুরু করেন মানিকুজ্জামান। মানুষের বাড়ি বাড়ি খাদ্যপণ্য পৌঁছে দিতে গিয়ে সড়কের পাশে বৃক্ষ রোপণের বিষয়টি মাথায় আসে। নিজ অর্থায়নে শুরু করেন কাজটি। পর্যায়ক্রমে এলাকার স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদরাসা ও ঈদগাহের খালি জায়গায় বৃক্ষরোপণ শুরু করেন তিনি।
দেড় বছরের উপজেলার রঘুনাথপুর-আতাইকুলা ইউনিয়নের ১৭ গ্রামে ৭৫০ অসহায় কর্মহীনকে খাদ্যসামগ্রী, পাঁচ শতাধিক অসহায় নারীকে শাড়ি, শিশুদের খেলার সামগ্রীসহ এসব এলাকায় তিন হাজারের বেশি গাছের চারা রোপণ করেছেন।
উপজেলার আতাইকুলা এলাকার বাসিন্দা কামরুল হাসান বলেন, শুধু গাছই লাগান না মনিক, গরিবের বিপদেও পাশে দাঁড়ান। করোনাকালে তিনি বহু অসহায় মানুষকে সহায়তা করেছেন।
একই উপজেলার কুমিরড়াগী এলাকার বাসিন্দা মো. আলাউদ্দিন বলেন, তাদের মসজিদ ও কবরস্থানের পাশে মানিক নিজ উদ্যোগে গাছ লাগিয়ে সেগুলো ঘেরাওয়ের ব্যবস্থা করেছেন।
সাঁথিয়া উপজেলার সামান্যপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফসার আলী বলেন, স্কুল পাঠাগারের জন্য তিনি ফ্যান কিনে দেন। সর্বশেষ নিজ খরচে স্কুলের আশপাশে গাছের চারা রোপণ করেছেন।
এ বিষয়ে মানিকুজ্জামান মানিক বলেন, নার্সারি থেকে বাছাই করে ফলদ, বনজ ও ওষুধি গাছের চারা সংগ্রহ করে সেগুলো সড়ক, মসজিদ-মাদরাসায় লাগানো হয়। এভাবে সবাই এগিয়ে আসলে সবুজ প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় থাকবে।
এ প্রসঙ্গে সাঁথিয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সোহেল রানা খোকন বলেন, এ যুবকের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলে ধীরে-ধীরে সবুজে ভরে উঠবে পুরা এলাকা।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়