বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১১ ১৪৩১ ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১৮ মার্চ ২০২২
নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘এ রাতে বনি কালবের ভেড়া বকরির পশমের (সংখ্যার পরিমাণের) চেয়ে বেশিসংখ্যক গুণাহগারকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন।’ (তিরমিজি: ৭৩৯)।
নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেছেন, আল্লাহ তাআলা অর্ধশাবানের রাতে মাখলুকাতের দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া আর সবাইকে ক্ষমা করে দেন (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৫৬৬৫, ইবনে মাজাহ: ১৩৯০, রাজিন: ২০৪৮; সহিহ ইবনে খুজাইমা, পৃষ্ঠা: ১৩৬)।
‘এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে’। (সূরা ফালাক : ৫)
ইমাম বাকির (আঃ) বলেছেন : ‘নিশ্চয়ই যেভাবে আগুন কাঠকে ভক্ষণ করে (জ্বালিয়ে নিঃশেষ করে), হিংসাও ঈমানকে ভক্ষণ করে'। (আল কাফী, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ৩০৬, হাদীস নং ১)
ইমাম সাদিক (আঃ) বলেছেন : ‘একে অপরের সাথে হিংসা করা থেকে বিরত থাকো, কেননা হিংসা হল কুফরের ভিত্তি স্বরূপ'। (আল কাফী, খণ্ড ৮, পৃ. ৮, হাদীস নং ১)
হযরত লোকমান (আঃ) স্বীয় পুত্রকে বললেন : ‘হিংসুকের তিনটি চিহ্ন রয়েছে : পিঠ-পিছনে গিবত করে, সামনা সামনি তোষামোদ করে এবং অন্যের বিপদে আনন্দিত হয়।' (আল খেসাল, পৃষ্ঠা ১২১, হাদীস নং ১১৩)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন: আল্লাহ তাআলা এ রাতে বিদ্বেষ পোষণকারী ও নিরপরাধ মানুষকে হত্যাকারী ছাড়া বাকি সব বান্দাকে ক্ষমা করে দেন (মুসনাদে আহমদ, চতুর্থ খণ্ড, পৃষ্ঠা: ১৭৬)।
‘যখন অর্ধশাবানের রাত আসে, তখন আল্লাহ তাআলা মাখলুকাতের প্রতি রহমতের দৃষ্টিতে তাকান; মুমিনদের ক্ষমা করে দেন, কাফিরদের ফিরে আসার সুযোগ দেন এবং হিংসুকদের হিংসা পরিত্যাগ ছাড়া ক্ষমা করেন না।’ (শুআবুল ঈমান, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩৮২)।
‘এ রাতে আল্লাহ তাআলা মুশরিক ও ব্যভিচারিণী ছাড়া সবার চাওয়া পূরণ করে থাকেন (শুআবুল ঈমান, তৃতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা: ৩৮৩)।’
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়