বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১১ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ৯ অক্টোবর ২০২১
রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মূলযন্ত্র রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল বা পরমাণু চুল্লিপাত্র বসছে রোববার। ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে চুল্লীপাত্র স্থাপনকাজ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রাশিয়ার কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় নির্মিত রূপপুর প্রকল্পের মূল নির্মান কাজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধাপ চুল্লী পাত্র স্থাপন। এরপর আগামী নভেম্বরে স্টিম জেনারেটর স্থাপনের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ভৌত কাঠামোয় পারমাণবিক যন্ত্রাংশ স্থাপন শেষ হবে। চলতি বছরের মধ্যেই প্রকল্পের ৫০ ভাগ কাজ শেষ হবে বলে জনিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
আগামীকাল চুল্লী পাত্র স্থাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান রাশিয়ার পরমাণু শক্তি সংস্থা রোসাটমের মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ ও প্রকল্পের বাংলাদেশি ও রাশিয়ান কর্মকর্তারা।
পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে, বিভিন্ন প্রস্তুতি পর্ব শেষে প্রথমত ভৌত অবকাঠামো তৈরি করা হয়। এরপর সেসব অবকাঠামোর মধ্যে পারমাণবিক যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়।
রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ড.শৌকত আকবর বলেন, ভৌত কাঠামোর নির্মাণের পর খুব দ্রুত গতিতে চলে যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ। ভৌত কাঠামো নির্মাণ গতির সাথে তাল মিলিয়ে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি তৈরি করা হচ্ছে রাশিয়ায়। ইতিমধ্যে প্রথম ইউনিটতো বটেই দ্বিতীয় ইউনিটেরও প্রায় যন্ত্র প্রকল্প এলাকায় এসে পৌঁছেছে।
শৌকত আকবর জানান, করোনার মধ্যে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চলেছে রূপপুরে। বন্ধ থাকেনি এক দিনের জন্যও। ওই সময়ে কিছুটা গতি কমলেও নতুন বাস্তবতায় লোকবল বাড়িয়ে এগিয়ে চলছে প্রকল্প।
১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচের এই প্রকল্পে নব্বই ভাগ টাকা ঋণ দিয়েছে রাশিয়া। একই সাথে আন্তঃরাষ্ট্রীয় কয়েকটি চুক্তির মাধ্যমে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে রূশ ঠিকাদার এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট। বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি এটি পরিচালনার জন্য জনবলও তৈরি করে দিচ্ছে রাশিয়া।
পরমাণু চুল্লিপাত্র স্থাপন বিষয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, এই ঘটনা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল বা পরমাণু চুল্লিপাত্রকে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের হার্ট বা হৃদপিণ্ড বলা যেতে পারে। এই ভবনের বিভিন্ন ধাপে বসানো হয়েছে নিউক্লিয়ার যন্ত্রপাতি। পাঁচ ধরনের যন্ত্রের মধ্যে ইতিমধ্যে প্রেসারাইজার, কুল্যান্ট পাম্প এবং হাইড্রো এক্যুমুলেটর বসানো সম্পন্ন হয়েছে। রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের পরপরই আগামী নভেম্বরে স্থাপন করা হবে স্টিম জেনারেটর।এর ফলে প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ের সাথে তাল মিলিয়েই এগিয়ে যাবে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ২০২৩ এ প্রথম ইউনিট থেকে ১২০০ মেগাওয়াট এবং ২০২৫ সালে একই পরিমাণ বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে দ্বিতীয় ইউনিট থেকে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়