শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৫ ১৪৩১ ১০ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২০
ফাইল ছবি
পাবনার চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি পুকুরের মাছ কোনো প্রকার নিলাম ডাক ছাড়াই রাতের আঁধারে বিক্রি করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মাছ বিক্রির বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. শুয়াইবুর রহমান বললেন,মাছ বিক্রির ১৫ হাজার টাকা চালানের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এখন দূর্নীতিবাজদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ‘আমি ও আমার প্রতিষ্ঠান দূর্নীতিমুক্ত”-এমন ব্যানার টাঙিয়ে অবাধে দুর্নীতি করা হচ্ছে। সূত্রমতে,গত ১৬ জানুয়ারি দিবাগত রাতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরের পুকুরের লক্ষাধিক টাকার মাছ বিক্রি করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নির্দেশে আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ স ম বায়েজিদ উল ইসলাম এই মাছ বিক্রির সাথে জড়িত। ইতোপূর্বে ডাঃ বায়েজিদ কমপ্লেক্সের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে পুকুরের মাছ বিক্রি করে হজম করেন। কর্মচারীরা বিষয়টি জেনেও কোনো প্রতিবাদ করতে পারেন না।
শুধু মাছ বিক্রিই নয়,স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ও ডাঃ বায়েজিদের বাসা বরাদ্দ,মসজিদ নির্মাণের নামে কর্মচারীদের কাছ থেকে টাকা আদায়,পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতার নামে টাকা আদায়,নতুন যোগদানকৃত চিকিৎসকদের বসার জন্য চেয়ার,টেবিল ক্রয়ের জন্য ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের কাছ থেকে মোটা টাকা আদায়,নবাগত চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের বিনোদন সফরের নামে ওষুধ কোম্পানীর প্রতিনিধিদের কাছ থেকে মোটা টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানা গেছে,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে অবস্থিত পুকুরের লক্ষাধিক টাকার মাছ রাতের আঁধারে বিক্রি করা হয়েছে। এজন্য কোনো প্রকার কোটেশান বিজ্ঞপ্তি কিংবা প্রকাশ্যে নিলাম করা হয়নি। এতে সরকারের মোটা টাকা লোপাট করা হয়েছে। এসকল অনিয়ম আর দূর্নীতির কারণে হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবা মূখ থুবড়ে পড়েছে। এনিয়ে হাসপাতালের কর্মচারীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
স/এমএস
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়