বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ বৈশাখ ২৬ ১৪৩১ ০১ জ্বিলকদ ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২৪
আল্লাহ তায়ালা তাঁর বান্দার প্রতি বিভিন্ন সময় তাঁর ক্ষমার কুদরতি হাত প্রসারিত করেন, বিশেষ করে পবিত্র মাহে রমজানে অগণিত মানুষকে ক্ষমা করেন। রমজানের রোজার মাধ্যমে গুনাহ মাফ হয়। রোজার সঙ্গে গুনাহ মাফের সম্পর্ক খুব গভীর। রমজান মাসে মাগফিরাতের অগ্নিশিখা জ্বালিয়ে দেয় বান্দার সব পাপ।
গুনাহ মাফের বিশেষ তিনটি আমল
মাহে রমজান মাগফিরাতের মৌসুম। রমজান মাসের বিশেষ তিনটি আমল গুনাহ মাফের অন্যতম মাধ্যম :
(১) ফরজ সিয়াম (রোজা) মহান আল্লাহ যা শুধু রমজান মাসেই মুসলিম জাতিকে দান করেছেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও বিশ্বাসের সঙ্গে এবং সওয়াবের আশা রেখে রমজানের সিয়াম রাখে, তার পূর্বেকার পাপরাশি মাফ হয়ে যায়। (বুখারি, হাদিস নম্বর ৩৫)
(২) ক্বিয়ামুল লাইল তথা তারাবির নামাজ।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি ঈমান ও বিশ্বাসের সঙ্গে এবং সওয়াবের আশা রেখে তারাবির নামাজ আদায় করবে, তার পূর্বেকার পাপরাশি মাফ হয়ে যাবে। (বুখারি, হাদিস নম্বর : ৩৭)
৩) লাইলাতুল কদর এমন একটি রাত, যা রমজান মাস ব্যতীত বছরের আর কোনো মাসে পাওয়া যায় না। এ রাত হাজার মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ ও উত্তম। এই রাতে মহাগ্রন্থ আল-কোরআন নাজিল হয়েছে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি শবেকদরে ক্বিয়ামুল লাইল করবে ঈমান ও এহতেছাবের সঙ্গে, আল্লাহপাক তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেবেন। (বুখারি, হাদিস নম্বর : ২০১৪)
মাহে রমজানে গুনাহ মাফের সময়
পবিত্র রমজানের বিশেষ বিশেষ মুহূর্তে বান্দার দোয়া কবুল হয়। যেমন ইফতারের আগমুহূর্তে। এই সময়গুলোতে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি প্রার্থনা করা এবং অতীত পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা আবশ্যক। রাসুল (সা.) বলেছেন, তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না—ন্যায়পরায়ণ শাসক, রোজাদার যতক্ষণ না সে ইফতার করে এবং অত্যাচারিত ব্যক্তির দোয়া।
(ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৭৫২)
তাই আমাদের উচিত রমজানে হতভাগা না হয়ে তাওবা করে নিজের গুনাহ মাফ করিয়ে নেওয়া।
লেখক : শিক্ষক, জামিয়া মিফতাহুল উলূম, নেত্রকোনা।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়