বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৫ ১৪৩১ ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২০
যৌতুকের জন্য নির্যাতন। প্রতিকী ছবি।
যৌতুকের দাবিতে শশুর বাড়ির লোকজনের মারধরের পরে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার শিকার হয় আখি। পেরিয়ে গেছে পাঁচ বছর। একমাত্র সন্তান আখি হত্যার বিচার পাননি আটঘরিয়ার চাঁদভা ইউনিয়নের কুষ্টিয়া পাড়ার হতভাগ্য দরিদ্র পিতা আতাউর হক। তবে আজো সে বিশ্বাসী যে অন্যায়ভাবে যারা তার মেয়েকে হত্যা করেছে তাদের বিচার হবেই।
২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি যৌতুকের দাবিতে আখিকে বেধরকভাবে মারধরের পরে গলার ভেতরে জোরপূর্বক কীটনাশক ঢুকিয়ে দিয়ে গিলে ফেলতে বাধ্য করে স্বামী ও শশুরবাড়ির লোকজন বলে অভিযোগ তার পরিবারের। ২০১১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর কদমডাঙ্গা গ্রামের আজগর সরদারের ছেলে আব্দুস সাত্তার সরদারের সাথে বিয়ে হয় আখির। কদমডাঙ্গা গ্রামে একান্নবতি পরিবারে অবস্থান করা ঘরবধূ আখির জীবনের শুরু থেকেই নেমে আসে যৌতুকের কালো থাবা। শশুড় স্বামী শাশুড়ি ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে তাকে অবিরত। পিতা গরিব মানুষ টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই জানালে আখির ওপরে মেনে আসে কঠোর নির্যাতন। এরই এক পর্যায়ে তাকে নির্মমতার শিকার হয়ে নিজের জীবনকে দিয়ে দিতে হয় যৌতুক নামের অভিশাপের বলিতে। পাবনা সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় আখির।
আখির মা জয়নব খাতুন বাদী হয়ে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা (নম্বর-২৩৭/২০১৫) দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন কদমডাঙ্গা গ্রামের আজগর সরদারের ছেলে আব্দুস সাত্তার সরদার, মরহুম আব্বাস সরদারের ছেলে আজগর সরদার, আজগর সরদারের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন এবং সিংগুরিয়া গ্রামের রহমত আলীর স্ত্রী হাসি খাতুন।
এন/কে
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়