মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ৪ ১৪৩০ ০৯ রমজান ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ৫ এপ্রিল ২০১৯
আমরা অনেকেই জানিনা বাংলাদেশের একটি সরকারি ড্রিংকিং ওয়াটার ‘মুক্তা পানি’ কারখানা আছে। ‘মুক্তা পানি’ মিনারেল ওয়াটারের বোতল আমাদের প্রতিবন্ধীরাই তৈরি করছে।
জানা যায়, এটি গাজীপুরে অবস্থিত। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়। এর বিশেষত্ব হল এ কারখানা সম্পূর্ণরূপে প্রতিবন্ধীদের দ্বারা চলে। কোন স্বাভাবিক, সুস্থ মানুষকে এখানে কাজ দেওয়া হয় নি। আর এখান থেকে যে লাভ হয় তার পুরো অংশই প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়।
সরকারি হাই লেভেলের মিটিং ও প্রোগ্রামগুলোতে এ পানি ব্যবহার করা হয়। সহজেই বুঝা যায় এটি কেমন বিশুদ্ধ হতে পারে অথচ দাম একই। কোন বিজ্ঞাপন না থাকার কারণে এর প্রসার ঘটছেনা। প্রসারের জন্য প্রতি জেলায় জেলায় ডিলারও দরকার রয়েছে। এক বোতল পানি কিনেও যদি এই পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর উপকার করা সম্ভব।
জানা যায়, অন্তত এ পানিতে কখনোই শ্যাওলা বা ময়লা পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কেউ কারখানাটি দেখলে অবাক হবে। এখানে কীভাবে পানি মাটির নিচ থেকে তোলা হয়। বিশুদ্ধ করা হয় এবং বোতলজাত করা হয়। প্রচারে প্রসার। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবন মান উন্নয়নে আমরা সবাই সংযুক্ত হতে পারি।
সম্প্রতি বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রতিবন্ধীদের তৈরি ‘মুক্তা পানি’ সবাইকে কিনতে বলেছেন।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে অটিস্টিকদের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভা রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নিজেদের প্রতিভা দিয়ে এরা অনেক কিছু তৈরি করতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী এ সময় ‘মুক্তা পানি’ মিনারেল ওয়াটারের বোতল হাতে নিয়ে অনুষ্ঠানের সবাইকে দেখিয়ে বলেন, এটিও কিন্তু আমাদের প্রতিবন্ধীরাই তৈরি করছে। এতো সুন্দর পানি এতো সুন্দর বোতল আমার অফিসে বারবার বলার পরে আমার জন্য কিছু বোতল আনা হয়, অন্যরা ব্র্যান্ডের পানি খায়।’ সবাইকে তিনি এই পানি কেনার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। প্রতিবন্ধীদের মেধাকে কাজে লাগানোর ক্ষেত্রেও সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে তাদের একটু কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব। তাহলে তাদের জীবনটাও অর্থবহ হয়। তারা যতটুকু সুযোগ পায় সেটাকে কাজে লাগাতে পারে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়