শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৩ মার্চ ২০২০
করোনাভাইরাস, খালেদা জিয়ার মুক্তি ও অন্যান্য চলমান ইস্যুতে বিএনপির করণীয় শীর্ষক স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কাশি দিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শরীরে জ্বর, সর্দি ও গলাব্যথা নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত হওয়ায় লন্ডন থেকে স্কাইপিতে যুক্ত হওয়া দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও উপস্থিত স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তার কঠোর সমালোচনা করেন। মুখ নিচু করে মির্জা ফখরুল তাদের সমালোচনা শোনেন। কিন্তু কোন কথা বলেননি।
মির্জা ফখরুলের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে তারেক রহমান বলেন, পরবর্তী ১৪ দিন জনসম্মুখে আসবেন না। চলাফেরাও বন্ধ করে হোম কোয়ারেন্টাইনে চলে যান। এতে সবারই মঙ্গল হবে। অন্যদিকে, বৈঠকে মির্জা ফখরুলের হঠাৎ এমন কাশিতে উপস্থিত বিএনপির শীর্ষ নেতাদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বলে জানা গেছে।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ২১ মার্চ সন্ধ্যা ৬টায় পূর্বনির্ধারিত বৈঠকে উপস্থিত হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এ সময় লন্ডন থেকে স্কাইপির মাধ্যমে যুক্ত হন তারেক রহমান এবং নির্দেশনা দেন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে জনমত গড়ে তুলতে ব্যানার-পোস্টার ও অনলাইনে প্রচারণা চালাতে। পাশাপাশি চলমান করোনাভাইরাস ইস্যু নিয়েও কাজ করতে। বৈঠকের এক পর্যায়ে মির্জা ফখরুল হঠাৎ করে পরপর কয়েকবার কাশি দিলে উপস্থিত সকলের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় মওদুদ আহমেদ এগিয়ে এসে মির্জা ফখরুলের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করে আঁতকে ওঠেন। প্রচণ্ড জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে দলের সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী ফোরামের বৈঠকে উপস্থিত হওয়া মির্জা ফখরুলের কাণ্ডজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তারেক। নিমিষেই স্থায়ী কমিটির উপস্থিত সদস্যদের মাঝে ভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। করোনার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সাবধানতা অবলম্বন না করায় মির্জা ফখরুলের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপস্থিত নেতারা।
পরবর্তীতে মির্জা ফখরুলকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থেকে দলের সকল ধরণের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দিয়ে বৈঠকের মুলতবি ঘোষণা করেন তারেক। মির্জা ফখরুলের কাশিকাণ্ডের পর চোখে-মুখে আতঙ্ক নিয়ে দ্রুত গুলশান ত্যাগ করেন বিএনপির অন্যান্য স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়