মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১০ ১৪৩১ ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এম হোসেন আলী স্মৃতি পরিষদকে ৫০ হাজার টাকা অনুদান দিয়েছেন পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম হাসনাইন রাসেল।
বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে পৌর আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে মেয়র রাসেল তার ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এম হোসেন আলী স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক মো. মোফাজ্জল হোসেন এর হাতে এই অর্থ তুলে দেন।
এই অর্থ দিয়ে এম হোসেন আলী স্মৃতি পরিষদের ঘর সংষ্কার ও উন্নয়ন কাজে লাগানো হবে বলে তাৎক্ষণিকভাবে জানা গেছে। জানা গেছে, বিদেশের মাটিতে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনকারী পাবনার জেলার ভাঙ্গুড়ার সন্তান এম হোসেন আলী।
তিনি ১৯২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পারভাঙ্গুড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
তিনি ১৯৪৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যায় থেকে রসায়নে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪৮ সালে করাচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এলএলবি ডিগ্রিলাভ করে১৯৪৯ সালে সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন।
তিনি ১৯৭০ সালে কলকাতাস্থ পাকিস্তান হাইকমিশনে ডেপুটি হাইকমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে পাকিস্তান সরকার তাকে পশ্চিম পাকিস্তানে বদলি করে।
কিন্তু এম হোসেন আলী পাকিস্তানে না গিয়ে দূতাবাসের ৬৫ জন সহকর্মী নিয়ে ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেন। তিনি বিদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে বাংলাদেশ মিশনের যাত্রা শুরু করেছিলেন ।
কলকাতার হাইকমিশন অফিসের নামকরণ হয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ মিশন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক যোগাযোগের কেন্দ্রে পরিণত হয় এ মিশন।
স্বাধীনতার পরে ১৯৭২ সালে হোসেন আলী তথ্য ও বেতার মন্ত্রণালয়ের সচিব নিযুক্ত হন। ১৯৭২ সালের মার্চে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার নিযুক্ত হন। এর বাইরে ফিজি এবং নিউজিল্যান্ড মিশনের অতিরিক্ত দায়িত্ব তিনি পালন করেন।
১৯৭৩ সালের জানুয়ারি মাসে হোসেন আলী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন। ১৯৭৬ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত তিনি পশ্চিম জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িকত্ব পালন করেন। পরে তিনি কানাডায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন।
১৯৮১ সালের ২ জানুয়ারি চাকুরিরত অবস্থায় কানাডায় হোসেন আলীর মৃত্যু হয়। তার স্মরণে ভাঙ্গুড়া উপজেলায় একটি সড়ক, একটি অডিটরিয়াম কামকমিউনিটি সেন্টারের নামকরণ করা হয়েছে এম হোসেন আলী ও তার নামে একটি স্মৃতি পরিষদ রয়েছে ।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়