বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২২
আন্ত:প্রাথমিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার বাছাই অনুষ্ঠানের দাওয়াতে এসে মঞ্চে ইউপি চেয়ারম্যানের আসন না থাকায় তার ক্যাডার বাহিনীর সদস্যরা একজন শিক্ষককে বেদম প্রহার করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছোটন মিয়া ও শাহাদত হোসেন নামের দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আজ রবিবার (২৯ মে) পাবনা কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভাঙ্গুড়া থানার ওসি ফয়সাল বিন আহসান।
জানা যায়, গতকাল শনিবার (২৮ মে) দুপুরে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার প্রত্যন্ত খানমরিচ ইউনিয়নের ২৮ টি বিদ্যালয়কে দুটি ভাগে বিভক্ত করে শনিবার ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বাছাইয়ের আয়োজন করা হয়।
এ উপলক্ষে চন্ডিপুর খেলার মাঠে চৌদ্দটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী-শিক্ষক সমবেত হন। ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন খান (মিঠু) অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন কিন্তু সেখানে তার আসন থাকায় তিনি রাগান্বিত হয়ে চলে যান।
এ সময় ক্যাডাররা ক্রীড়ানুষ্ঠানের মঞ্চ ভাংচুর করে। এতে অনুষ্ঠানই পন্ড হয়ে যায়। পরে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসারের পরামর্শে দাসমরিচ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান চন্ডিপুর বাজারস্থ চেয়ারম্যানের ব্যাক্তিগত কার্যালয়ে যান। তখন চেয়ারম্যানের কয়েকজন অনুসারী ওই শিক্ষককে বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে বেদম প্রহার করেন।
এ বিষয়ে শিক্ষক হাবিবুর রহমান (৫৭) বলেন, চেয়ারম্যানের লোকেরা বাঁশের লাঠি দিয়ে তাকে বেদম প্রহার করেন। এ ব্যাপারে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন খান বলেন,‘‘শিক্ষকরা আমাকে ফোনে দাওয়াত দেন কিন্তু মঞ্চে আসন না দেওয়ায় আমার সমর্থকদের সঙ্গে তাদের বাক বিতণ্ডা হয়েছে। আমার উপস্থিতিতে কোনো শিক্ষক প্রহার করা হয়নি বলেও তিনি দাবি করেন”। উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা শিক্ষক প্রহৃত হবার ঘটনা স্বীকার করে বলেন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য শিক্ষকরা ভীষণ ক্ষুব্ধ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, ঘটনাটি শোনার পর উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
ওসি ফয়সাল বিন আহসান জানান, শিক্ষকদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ২ জন আসামীকে গতকাল শনিবার রাতেই গ্রেফতার করে এবং আজ রবিবার তাদের জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়