শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল ২০২০
করোনা পরিস্থিতিতে রেলওয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তারা ছুটিতে আছেন। উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারাও করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করতে প্রতিনিয়ত ছুটে বেড়াচ্ছেন শহর ও গ্রামে। আর এই সুযোগে পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্রে রেলের জায়গায় অবৈধভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন এক ব্যবসায়ী।
সূত্র জানায়, ভাঙ্গুড়া পৌরশহরের বাসস্ট্যান্ড চত্বরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধের পাশেই রেলের জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী নুরুজ্জামান হোসেন। এর আগে এই জায়গাটি উপজেলার পাটুলিপাড়া গ্রামের মকবুল হোসেন ভোগদখল করত। গত এক বছর আগে তিনি ওই জায়গাটি ৫ লাখ টাকায় নুরুজ্জামান হোসেনের কাছে বিক্রি করে দেন।
অথচ রেলের জায়গা ক্রয় ও বিক্রয় আইনত বৈধ নয়। জায়গা বিক্রির প্রমাণ হিসেবে তাদের মধ্যে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে আনঅফিসিয়ালি হস্তান্তরনামা দলিল করা হয়। এরপর দীর্ঘদিন ধরে নুরুজ্জামান জায়গাটি ফেলে রাখে। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের সৃষ্ট পরিস্থিতিতে জায়গার চারপাশে টিন দ্বারা ঘেরা দিয়ে অত্যন্ত গোপনে একতলা ভবনের কাজ সম্পন্ন করেন।
এরপর দ্বিতীয় তলা ভবনের কাজ শুরু করলে বিষয়টি সকলের নজরে আসে। তখন রেলের কর্মচারীরা এসে কাজে বাধা দেয়। পরে নুরুজ্জামান ও রেলওয়ে কর্মচারীদের মধ্যে বনিবুনা হলে আবারও কাজ শুরু করা হয়।
রেলওয়ে সূত্র মতে, রেলের জায়গা কেউ লিজ নিলেও স্থায়ী পাকা ভবন করতে পারবেন না। অস্থায়ী ঘর করে কোনো ব্যক্তি বসবাস করতে পারবেন। তবে রেল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময় তাকে সরিয়ে দিতে পারবেন।
এ বিষয়ে নুরুজ্জামান হোসেন বলেন, সবাই রেলের জায়গায় বহুতল ভবন করেছে। তাই আমিও করছি। তা ছাড়া রেলের লোকজন বিষয়টা দেখে গেছে। তারা ভবন নির্মাণে জোরালোভাবে বাধা দেয়নি। তাই নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।
ভাঙ্গুড়া পৌর ভূমি অফিসের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা আবদুল আজিজ বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে অফিস ছুটি থাকার কারণে পৌর শহরে ঘোরাঘুরি করা হয় না। এই সুযোগে কেউ হয়তো সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ শুরু করতে পারে। তবে দ্রুত সরেজমিন অনুসন্ধান করা হবে। তখন অবৈধভাবে ভবন নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের পাকশী অফিসের ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা ইউনুস আলী বলেন, অফিসের সব কর্মকর্তা ছুটিতে আছেন। এই সুযোগে কেউ রেলের জায়গায় অবৈধভাবে ভবন তুলতে পারে। তবে অফিস বন্ধ থাকলেও সরেজমিনে দেখতে ভাঙ্গুড়ায় লোক পাঠানো হবে। এরপর অবৈধ দখলদারের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স/এমএস
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়