বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ চৈত্র ১৪ ১৪৩০ ১৮ রমজান ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২১
খেতে ধান পেকেছে। সব কাজ ফেলে রেখে কৃষক ছুটছেন মাঠে। নতুন ধান ঘরে তুলতে যেন দম ফেলাবার সময় নেই! পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার মাঠে মাঠে এখন চলছে ধান কাটা, মাড়াই আর উড়ানোর উৎসব।
গ্রীষ্মের প্রচন্ড তাপদহ উপেক্ষা করে সোনার ফসল ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন এলাকার কৃষক-কৃষাণিরা। কাকডাকা ভোর থেকে রাত পর্যন্ত চলছে তাদের কাজ। এবার ধানের বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখেও ফুটেছে হাসি। ইতোমধ্যে উপজেলার হাট-বাজারে নতুন ধান উঠতে শুরু করেছে। জানাগেছে, সাড়ে ৯ শ' থেকে ১ হাজার টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে নতুন ধান। ধান কাটতে একজন শ্রমিকের মজুরী দিতে হচ্ছে ৫০০/৬০০ টাকা।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলায় ৬ হাজার ৩ শ’ ৮০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। আর ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৩ হাজার ৯শ’ ৭৮ মেট্রিক টন।
উপজেলার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের চরভাঙ্গুড়া গ্রামের কৃষক আবদুল লতিফ জানান, তিনি ৪ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। এখনও তার ধান কাটা পুরোপুরি শেষ হয় হয়নি। ফলন ভালো হয়েছে। তিনি বর্তমান ধানের বাজার মূল্যে সন্তুষ্ট। উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের পুকুরপাড় গ্রামের কৃষক আবদুস সালাম জানান, ব্রি-২৯ জাতের ধানের আবাদ করেছি। ৫০ বিঘা জমির মধ্যে প্রায় অর্ধেক জমির ধান কাটা শেষ করেছি। ফলনও ভালো। তিনি আরও জানান,‘বর্তমানে ৯৫০ থেকে ১ হাজার টাকা মণ ধান বিক্রি হচ্ছে।‘
উপজেলার দিলপাশার ইউনিয়নের চাচকিয়া গ্রামের কৃষক শামসুজ্জামান জানান, তিনি ১১ বিঘা জমিতে ধান কাটা শুরু করেছেন। বর্তমানে যে দরে ধান বিক্রি হচ্ছে তা ঠিক থাকলে পুষিয়ে উঠতে পারবেন।
আদাবাড়িয়া গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন জানান, ‘ব্রি-২৯ জাতের ধান লাগিয়ে বিঘায় ৩৬ মণ ফলন পেয়েছি। ৩২০০শ’ টাকা বিঘা চুক্তিতে শ্রমিক দিয়ে ধান কাটাচ্ছি।’
উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা সুস্থির কুমার সরকার আজকের পত্রিকা' কে বলেন, আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় বিগত বছরের তুলনায় এবার ধানের ফলন বেশি হবে। বর্তমানে বাজার অনুযায়ী কৃষক ধানের নায্য মূল্য পাচ্ছেন।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়