বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২১
জাতীয় ফল কাঁঠাল। ফলের রাজা বলে সবার কাছে সমাদৃত। কাঁঠাল শুধুমাত্র একটি মৌসুমী ফলই নয়- সহায়ক খাদ্য ও অর্থকরী ফসল হিসেবে স্বকীয় গুণাগুণের কারণেই নিজের জায়গা করে নিয়েছে।
ভাংগুড়া ও তার আশেপাশের উপজেলা গুলোতে এখন কাঁঠাল গাছগুলিতে ঝুলন্ত কাঁঠালে ছেয়ে আছে। কোন কোন বাগানের আগাম জাতের কাঁঠালগুলি পাকতে শুরু করেছে। পাকা কাঠালের মিষ্টি গন্ধে কীট পতঙ্গরা ভিড় করছে গাছে গাছে। আর সেই আনন্দে বাগান মালিকরা গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত। এসময় বাংলার প্রিয় জাতীয় ফল কাঠালের মিষ্টি রসে চিড়া, মুড়ি খাওয়ার ধুম পড়ে যায়।
উপজেলার হাট বাজার গুলোতে পাকা কাঁঠাল উঠতে শুরু করেছে। এখানকার অধিকাংশ কাঁঠাল গাছগুলো বাগান ভিত্তিক না হলেও বাড়ির আঙিনায়, রাস্তার দু’ধারে, স্কুল, কলেজের চত্বরে প্রচুর কাঁঠাল গাছের দেখা মেলে। আর এসব গাছে ঝুলে থাকা কাঁঠলের দৃশ্য অনেকের নজর কাড়ে। চারা লাগানোর পর সাধারণত এর কোন যত্ন নেয়া হয় না।
শুধুমাত্র ছাগলের আক্রমন ও ঝড়ে যাতে ভেঙে না পড়ে তার জন্য বড়জোর একটা খুঁটি ও খাঁচা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কাঁঠালের চারা আপনা থেকেই বেড়ে উঠে। এক কথাই অনাদর আর অবহেলায় বন-বাদারে বেড়ে উঠে ফলের রাজা কাঁঠাল।
কোন কোন পরিবার ফল মৌসুমে কাঁঠাল বিক্রি করে সারা বছরের আয় করে। ২ থেকে তিন মাস কাঁঠালের ভরা মৌসুম। এসময় পাইকার ও শ্রমিক শ্রেণীর লোকদের বাড়তি আয়ের সুযোগ হয়। এবার আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কাঁঠালের ভাল ফলন হয়েছে।
তবে ফলন বেশি হলে দাম না পাওয়ার আশংকাও রয়েছে। কারণ বেশি ফলনে দাম পড়ে যাওয়ার রেওয়াজ আদিকালের।
প্রতিটি গাছে ১শ থেকে ২শ পর্যন্ত ফল ধরেছে। কৃষিপণ্য কাঁঠাল মূলত একটি মৌসুমী সুস্বাদু ফল। কাঁঠালের বিচি তরকারিতেও সমান জনপ্রিয়। এলাকায় কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত করার বাবস্থা না থাকায় কৃষকরা তাদের ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অবিলম্বে অত্র এলাকায় একটি কাঁঠাল প্রক্রিয়াজাত ব্যবস্থা গড়ে তুললে এ উপজেলার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে উপকৃত হবে বলে মন্তব্য সচেতন মহলের।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়