শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৬ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২০
করোনায় বন্ধ উপজেলা প্রকৌশল অফিস। এমন সময়ে উপজেলায় ৬৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সড়ক সংস্কারে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসীরা জানান করোনায় সংশ্লিষ্ট অফিস বন্ধ থাকায় তদারকি সম্ভব হচ্ছে না। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ঐ ঠিকাদার অত্যন্ত নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার সহ নানা অনিয়ম করে কাজ এগিয়ে নিচ্ছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী উপজেলা প্রকৌশলীর নিকট মৌখিক অভিযোগ করেছে।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, ৬৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে উপজেলার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের শরৎনগর থেকে দিলপাশার ইউনিয়নের বেতুয়ান গ্রাম পর্যন্ত ৩ হাজার ২শ মিটার সড়ক সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করে উপজেলা প্রকৌশল অফিস। দরপত্র শেষে সড়কটি সংস্কারের অনুমতি পায় পাবনা শহরের অন্যতম প্রভাবশালী ঠিকাদার জিন্নাত আলী জিন্নাহ। এই সড়কের কাজ তদারকির দায়িত্ব দেওয়া হয় উপজেলা প্রকৌশল অফিসের সহকারি প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানকে।
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে কাজ শুরু করে মাত্র ২০ শতাংশ কাজ শেষ করেন তিন মাসের মাথায়। এরপরে করো না পরিস্থিতির কারণে উপজেলা প্রকৌশল অফিস বন্ধ হয়ে গেলে হঠাৎ যশোরে কাজ শুরু করেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন গত তিন মাসে শুধু হেজিংয়ের কাজ করলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে অফিস বন্ধ হয়ে গেলে খোয়া ফেলার কাজ শুরু করে। গত একমাস অত্যন্ত নিম্নমানের ইট খোয়া দিয়ে জোরেশোরে কাজে এগিয়ে নিতে থাকে ঠিকাদার। সড়কের উপরিভাগ আবর্জনা ঢাকা থাকলেও তা পরিষ্কার না করে পোড়ামাটির মতো খোয়া ব্যবহার করে রোলার করা হচ্ছে।
এলাকাবাসী আরও জানান এত অনিয়মের মধ্যে কাজ করতে থাকলেও সংশ্লিষ্ট অফিসের কোনো কর্মকর্তাকে সেখানে দেখা যায়নি। এছাড়া দরপত্র অনুযায়ী ঠিক রাখা হচ্ছে না। প্রথমে ঠিকাদারের ম্যানেজারকে দরপত্র অনুযায়ী কাজ করতে বলা হয়। কিন্তু তিনি তা না করায় উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে অভিযোগ দেয়া হয়। অভিযোগ রয়েছে দরপত্র অনুযায়ী কাজ বুঝে নিতে গেলে সংশ্লিষ্ট অফিসার কে ঠিকাদার জিন্নাত আলী জিন্নাহ নানাভাবে হেনস্থা করেন। কিছুদিন পূর্বে এলজিইডি আরটিআইপি-২ প্রকল্পের আওতায় জিসিএম সড়ক পুনর্বাসনের কাজে নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করায় জেলা প্রকৌশল অফিস তার সেই কাজ বন্ধ করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি জেলা প্রকৌশল অফিস কে প্রাণনাশের হুমকি দিলে তিনি পাবনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
বেতুয়ান গ্রামের বাসিন্দা রিপন আহমেদ বলেন, ঠিকাদারের লোকজন কারো কথা শোনে না তারা নিজেদের ইচ্ছামত খুবই বাজে খোয়া দিয়ে রাস্তা সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছে। সড়কে থাকা ময়লা আবর্জনার শহর রোলিং করছে। বারবার নিষেধ করা সত্ত্বেও সে ঠিকভাবে কাজ না করায় উপজেলা প্রকৌশলী বরাবর অভিযোগ দিয়েছি তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে রাস্তা দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপ-প্রকৌশলী হাবিবুর রহমানের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তাকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সড়ক সংস্কার কাজে অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি। দ্রুত সরেজমিনে অনুসন্ধান করে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স/মা
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়