শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৬ ১৪৩১ ১১ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০২০
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের এলজিএসপি প্রকল্পে কাজ না করে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছাদুর রহমানের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, ২০১৮-১৯ অথর্ বছরে ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নে ৪টি প্রকল্পে ১০ লক্ষ ৫২ হাজার ৫৯৮ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। বিধি অনুযায়ী, মাইকিং করে সভা আহ্বান করে ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে জনসাধারণের মতামতের ভিত্তিতে প্রকল্প গ্রহণ করার কথা। কিন্তু তা করা হয়নি। এখানে কয়ড়া ছারা-নাসির আলীম মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ২টি টয়লেট নির্মাণের জন্য ২ লাখ ১ হাজার ২শ’ ৯৯ টাকা বরাদ্দ দেখানো হয়। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান ও ওই ওয়ার্ডের মেম্বার জিন্না কাজ না করে বিলের পুরো টাকা উত্তোলন করে নিয়েছেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, ওই প্রতিষ্ঠানের পুরাতন টয়লেট রঙ করে প্রকল্পের টাকা হাতিয়ে নেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার কর্মচারী জানান টয়লেটটি পুরাতন এবার শুধু রং করা হয়েছে।
এ বিষয়ে কয়ড়া ছারা-নাসির আলীম মাদ্রাসায় সুপার আনছার আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি উত্তর এড়িয়ে যান। তবে ওই গ্রামের লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা গেছে এর আগেও ইউপি চেয়ারম্যান সুপারকে দিয়ে ভুয়া প্রকল্প করিয়ে টাকা হরিলুট করেছেন।
খানমরিচ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আছাদুর রহমান প্রকল্পের টাকা হরিলুটের কথা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, টয়লেট নির্মাণ করি নাই সত্য, কিন্তু এই টাকা আমি অন্য প্রকল্পে ব্যবহার করেছি। এক প্রকল্পের টাকা অন্য প্রকল্পে ব্যবহার করার নিয়ম আছে কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, নিয়ম নেই কিন্তু কাজ করার সময় অনিয়ম হয়ে যায়।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়