শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২০
৫০ শয্যাবিশিষ্ট ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শুধু নেই আর নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসারসহ এখানে ২৪ জন কোয়ালিফাইড চিকিত্সক থাকার কথা থাকলেও সেখানে আছে মাত্র দশ জন। নেই গাইনী সার্জন, অ্যানেসথেসিয়া ডাক্তার।
ডেন্টাল সার্জনের পদটিও অনেক দিন শূন্য। সব মিলে ১৪ জন চিকিত্সকের পদ খালি রয়েছে।
হাসপাতালটিতে অপারেশন থিয়েটার থাকলেও নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি। ফলে সিজারসহ কোনো অপারেশনই হয় না এখানে। প্রায় এক যুগ ধরে বন্ধ রয়েছে ওটির কার্যক্রম।
এছাড়া দশটি কনসালটেন্ট ডাক্তারের পদে আজ পর্যন্ত কাউকে পদায়ন দেওয়া হয়নি। দুটো এক্সরে মেশিনই অচল হয়ে পড়ে আছে। ফলে নামমাত্র এই হাসপাতালে কার্যত আধুনিক চিকিত্সাসেবার কিছুই পাচ্ছে না স্থানীয় রোগীরা।
এখানে সাধারণ ডেলিভারি হলেও জটিল প্রসূতি মা অথবা গুরুতর অসুস্থ রোগী এলে তাদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। হাসপাতালটিতে দশটি আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রাখা হলেও একজন রোগীর অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়ার সামর্থ্যও তাদের নেই।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. নাজমুস শাকিব বলেন, অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়ার পর একটি সিলিন্ডার সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট চলে। তিনি আরো বলেন, হাসপাতালে ভেন্টিলেটরের কোনো ব্যবস্থা এখানে নেই।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডা. হালিমা খানম বলেন, চার বছর আগে ৫০ বেডের হাসপাতাল চালু হলেও ২০১৮ সালে এর প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়া যায়। তবে এখনো কনসালটেন্ট চিকিত্সকদের পদের মঞ্জুরী পাওয়া যায়নি।
এছাড়া গাইনী সার্জন ও অজ্ঞান ডাক্তারের পোস্টিং দেওয়া হয়নি। ফলে প্রসূতি মায়ের সিজার করা সম্ভব হয় না।
এ ব্যাপারে পাবনার সিভিল সার্জন ডা. মো. মেহিদী ইকবাল বলেন, প্রয়োজনীয় জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট না থাকায় আমরা সেবা দিতে পারছি না। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অনেকবার লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়