বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ৫ ১৪৩১ ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৭ জানুয়ারি ২০২২
পাবনার ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ওএমএসের চাল ও আটা ক্রয়ে নিম্ন আয়ের মানুষের ভিড় বাড়ছে। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় সরকারনির্ধারিত ডিলারের দোকানে দেখা যাচ্ছে উপচে পড়া এই ভিড়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে ভাঙ্গা মহিলা কলেজ রোডে ডিলার সোবাহান মুন্সীর দোকানে গিয়ে দেখা যায় ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন। ক্রেতারা সবাই নিম্ন আয়ের মানুষ।
জানা যায়, গত ২২ জানুয়ারি থেকে ভাঙ্গায় এই চাল ও আটা বিক্রি শুরু হয়েছে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সপ্তাহে ছয় দিন (শুক্রবার ছাড়া) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ওএমএসের চাল বিক্রি হয়। একজন ডিলার প্রতিদিন এক হাজার কেজি চাল ও এক হাজার কেজি আটা বরাদ্দ পান।
প্রতি কেজি চাল ৩০ টাকা ও প্রতি কেজি আটা ১৮ টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি চাল, পাঁচ কেজি আটা ক্রয় করতে পারেন। ক্রেতারা সকাল ৯টার আগেই ডিলারের দোকানের সামনে এসে ভিড় করেন। কিন্তু চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম হওয়ায় দুপুরের আগেই বরাদ্দকৃত চাল ও আটা বিক্রি শেষ হয়ে যায়।
ভাঙ্গা পৌরসভার হোগলাডাঙ্গী মহল্লার বাসিন্দা জমসেদ ফকির (৫৫) জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। দেড় ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর চাল ও আটা কিনতে পারলাম। কম দামে চাল ও আটা কিনতে পেরে আমাদের মতো গরিব মানুষের বেশ উপকার হচ্ছে।
ভাঙ্গার চৌধুরীকান্দা সদরদী মহল্লার মনজু বেগম (৩৫) বলেন, ‘দুই ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি চাল ও আটা কেনার জন্য।’
এ বিষয়ে ডিলার সোবাহান মুন্সী বলেন, ‘যে চাল ও আটা বরাদ্দ পাই, তা দুপুরের আগেই শেষ হয়ে যায়। অনেকেই চাল ও আটা কিনতে এসে না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন। বরাদ্দ দ্বিগুণ করলে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী চাল ও আটা বিক্রি করা যেত।’
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়