বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১২ ১৪৩১ ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
তাল নিয়ে আমাদের সমাজে নানা প্রবাদ চালু রয়েছে। যেমন ভাদ্রমাস এলেই বলে তালপাকা গরম আবার সবকিছু জট পাকিয়ে গেল বলা হয় তালগোল পাকিয়ে ফেলা। এরকম আরেকটি প্রবাদ হলো তিল থেকে তাল করা।
আবার তাল শব্দটি অনেক ক্ষেত্রে ব্যাবহার করা হয়। তবে শব্দের ব্যাবহার যাই হোক না কেন তাল আসলে বাংলার সুস্বাদু ও জনপ্রিয় ফলগুলোর অন্যতম।
ঋতুবৈচিত্র্যের পালাবদলে বাংলার চিরায়ত রুপ নিয়ে হাজির হয়েছে শরৎ। ভাদ্রমাস থেকে যার শুরু। তালপাকা গরম আর শুভ্র সাদা কাশফুল এই ঋতুর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য।
বর্ষার কালিমাঘা মেঘ শরতের সাদা সাদা ভেলার মত মেঘকে স্বাগত জানিয়ে বিদায় নেয়। সকালে ঝরে পরে শুভ্র লাল শিউলি ফুল। মাঠে মাঠে ফসলের হাসি। নদীর কুলে কুলে কাশবন মাথা তুলে নিজেদের সৈন্দর্যের জানান দেয়।
সূর্য রশ্মীর খরতায় অসহনীয় গরম বিরাজ করে সর্বত্র। তীব্র গরমে কবিগুরুর একপায়ে দাঁড়িয়ে থাকা তাল গাছের তালগুলো পাকতে আরম্ভ করে। তালপাকা গরম প্রবাদটি মূলত এ অবস্থা থেকেই এসেছে।
পাবনার বেড়া অঞ্চলের বাজারে যখন অন্য ফলে ফরমালিন আছে বলে ক্রেতাদের সন্দেহ হয় তখন তাল সেই ফল যার মধ্যে কোন বিষাক্ত কোন উপাদান নেই বলেই ধরা হয়। তারপর আবার গাছপাকা ফল হিসেবেও যথেষ্ট সুনাম আছে। তাল দিয়ে তৈরি হয় নানা উপাদেয় পিঠা।
প্রায় ১২ রকম পিঠা তৈরি হয় এই তাল থেকে। তাই ভাদ্র মাসে তালের রয়েছে বিশেষ কদর। বাজারে এখন পাকা তাল বিক্রি হচ্ছে। বাজারে সাধারণত দ্ইু ধরনের তাল দেখতে পাওয়া যায়।
একটি হলো কালো ও আকরে বড় অন্য প্রকারের তাল হলো একটু লালচে ধরনের এবং আকারে ছোট। বাজারে এই কালো রঙের তালের চাহিদাই বেশি। কারণ এই তালের রস যেমন বেশি হয় স্বাদেও মিষ্টি হয়।
তবে পরিবেশ পরিবর্তনের ফলে তালগাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় তালের সেই রমরমা দৃশ্য আগের মতো চোখে পরে না। তাল কেবল একটি ফল নয় বরং বাংলা ঐতিহ্যের সাথে মিশে থাকা একটি আবেগ।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়