শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ বৈশাখ ১৩ ১৪৩১ ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫
পাবনার খবর
প্রকাশিত: ২৩ আগস্ট ২০২১
বিয়ে ভেঙে দেয়া নিয়ে কলহের জেরে পাবনার বেড়ায় ভাতিজার মারপিটে চাচা নিহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার রাতে মারপিটের ঘটনায় আহত হাতেম আলী (৫৫) সোমবার সকালে মারা যান। নিহত হাতিম আলী বেড়া পৌর এলাকার বাঙ্গাবাড়িয়া মহল্লার বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেড়া পৌর এলাকার ৮ নং ওয়ার্ডের বাঙ্গাবাড়িয়া গ্রামের বাতেন প্রামানিকের ছেলে সজিবের বিয়ে ঠিক হবার পর হঠাৎ কনে পক্ষ বিয়ে ভেঙে দেয়। এর পেছনে আপন চাচা মৃত হাতিমের হাত আছে বলে সন্দেহ করে পাত্র সজিব।
এ নিয়ে রোববার (২২ আগষ্ট) সন্ধ্যায় তারা পারিবারিক ভাবে বাড়িতেই একটি ঘরোয়া বৈঠকে বসেন। এসময় পাত্র সজিব উপস্থিত ছিল না কিন্তু তার দুই ভাই সুরুজ আলী (৩৪) সাকিল (৩২) সহ পরিরবারের অন্যন্যরা উপস্থিত ছিল। আলোচনার এক পর্যায়ে তারা সজিবের চাচাকে বিয়ে ভেঙ্গে দেওয়ার দোষারোপ করেন।
এ অভিযোগ চাচা হাতিম আলী অস্বীকার করলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে সাকিল এবং সুরুজ দুইভাই ক্ষিপ্ত হয়ে চাচার লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিটেই করে।
এতে হাতেম আলী গুরুতর আহত হয় পরে স্থানীয় ও পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
ঐ রাতেই পাবনা থেকে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সোমবার (২৩ আগষ্ট) সকাল এগারোটার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত সুরুজ এবং সাকিলকে আটক করেছেন বলে জানা গেছে।
বেড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বরের দুই ভাই সাকিল এবং সুরুজকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানান।
pabnasamachar.com
সর্বশেষ
জনপ্রিয়